মাথাভাঙা: সমগ্র কোচবিহার জেলায় প্রথম কোনও ব্যক্তি নিজের উদ্যোগে তৈরি করেছেন একটি মিউজিয়াম। তবে এই মিউজিয়াম কোনও সাধারণ মিউজিয়াম নয়। এটি একটি মাছেদের মিউজিয়াম। উত্তরবঙ্গের বুকে পাওয়া যায় এমন সমস্ত মাছ রয়েছে এই মিউজিয়ামে। এমন কিছু দুর্লভ মাছও সংগ্রহ করা রয়েছে এখানে। যা হয়তো অনেকেই চোখে দেখেনি। কারণ, সেগুলি বর্তমানে একেবারেই বিলুপ্তপ্রায় ।
তবে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমা এলাকায় বসবাস করা লক্ষ্মীকান্ত বর্মনের। সকলের কাছে তিনি মূলত পরিচিত 'মাছ পাগল' নামে। এই মানুষটি নিজের উদ্যোগেই তৈরি করেছেন এই দুর্লভ মিউজিয়াম। এই মানুষটির মাছেদের প্রতি অক্লান্ত ভালবাসাই এনাকে করে তুলেছে মাছ পাগল।
আরও পড়ুনঃ নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি কী হবে? পঞ্চায়েতের আগে ঘর গোছাতে সিপিআইএম কর্মীসভা, শাসককে কটাক্ষ শতরূপের
তবে একটা কথা বলতেই হয় বয়সের ছাপ পড়লেও এই মানুষটির মাছেদের প্রতি এই ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি। বর্তমান সময়ে তিনি লক্ষ্মীকান্ত বর্মনের চেয়ে সকলের কাছে বেশি পরিচিত 'মাছ পাগল দাদু' নামেই। এই মিউজিয়াম তৈরির বিষয়ে তিনি চিন্তা ভানবা শুরু করেছিলেন বহুদিন আগে থেকেই।
তবে কিভাবে সূত্রপাত সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান, "উত্তরবঙ্গের বুকে পাওয়া যাওয়া নদীয়ালি মাছের স্বাদ একেবারেই আলাদা। উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে এই সমস্ত মাছ। একটা সময় এই এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া গেলেও। তবে বর্তমান সময়ে এই সমস্ত মাছের অধিকাংশই বিলুপ্তপ্রায়। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই সমস্ত মাছ তুলে ধরতে তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে এই সমস্ত মাছ সংগ্রহ করেছেন তিনি।"
বর্তমান সময়ে তার এই মাছের সংগ্রহশালা দেখতে ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। মাঝেমধ্যেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনার জন্য তাঁর এই মাছের সংগ্রহশালা দেখতে আসেন। এ ছাড়াও কোচবিহার জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলি থেকেও তাঁর এই মাছের সংগ্রহশালা দেখতে আসে প্রচুর ছাত্রছাত্রীরা। মাছ পাগল এই ব্যক্তি তার এই বিশেষ সংগ্রহশালার জন্য পেয়েছেন বিভিন্ন সরকারি শংসাপত্র।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের শংসাপত্র পেয়েছেন তিনি এই কাজের জন্য। তবে তিনি জানাচ্ছেন, "বর্তমান সময়ে ১০০ রকম প্রজাতির বেশি মাছ রয়েছে তারই সংগ্রহশালায়। তবে এখনও বহু মাছ সংগ্রহ বাকি। তাই তিনি প্রতিনিয়ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান এই সমস্ত মাছেদের খোঁজে। উত্তরবঙ্গের মানুষদের এই সমস্ত মাছেদের প্রতি ভালবাসা বাড়ানোর জন্য তিনি তাঁর এই প্রচেষ্টা ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবেন।"
Sarthak Pandit
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar