কোচবিহার: কোচবিহার সদর শহরের বিবেকানন্দ স্ট্রিট এলকায় রয়েছে কোচবিহার শ্মশান। এই শ্মশানের বর্তমানে তৈরি হয়েছে কিছু সমস্যা। মূলত সেই কারণেই জেরেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কোচবিহারের সাধারণ মানুষকে। শ্মশানে ২০০২ সালে বসানো হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। তবে এই চুল্লি প্রায়শই অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। এছাড়া শ্মশানের পেছন দিয়ে বয়ে গেছে মরা তোর্সা নদী। তবে এই নদীটির অবস্থাও রীতিমত খারাপ হয়ে রয়েছে।
কোচবিহার শ্মশানের ঠিকানা: Cooch Behar Crematorium, Pilkhana, Kharimala Khagrabari, Cooch Behar, West Bengal, 736101 কোচবিহার শ্মশানের গুগল ম্যাপ লিঙ্ক:শ্মশানের নদীর মধ্যে জমে আছে প্রচুর কচুরিপানা এবং নোংরা আবর্জনা। এছাড়াও মাঝে মাঝেই এই নদী দিয়ে ভেসে আসে বিভিন্ন প্রাণীর মৃতদেহ। আর সেগুলি আটকে গিয়ে রীতিমত ভয়ঙ্কর পচা দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকা জুড়ে। এছাড়া শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি খারাপ পড়ে থাকায়। শ্মশানে শব দাহ করতে আশা মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া বৃষ্টির মরশুমের সময় শব দাহ করার কাঠ ভিজে থাকায় কারণে দাহ করতে সময় লাগে প্রচুর।
আরও পড়ুনঃ সন্ধে নামলেই জমজমাট কোচবিহার সাগরদিঘি চত্বর, ঘুরতে যেতে চান!তখন একাধিক শব দেহ দাহের জন্য আসলে অপেক্ষা করে থাকতে হয় মানুষকে। আর এই সময়ে কাঠের দাম ও বেড়ে যায়। তখন গরীব মানুষকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এই শ্মশানের পরিচর্যা এবং রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্বে রয়েছে কোচবিহার পৌরসভা। এলাকার স্থানীয় মানুষেরা জানান, \"আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়গুলি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে আসছি। তবে এখনও পর্যন্ত এই সমস্যাগুলি কোন স্থায়ী সমাধান করে উঠতে পারেনি কোচবিহার পৌরসভা\"।
আরও পড়ুনঃ জয়েন্টে রাজ্যে পঞ্চম স্থান কোচবিহারের কৌস্তভ চৌধুরীরতবে এই অভিযোগ পাওয়ার পর রীতিমত তৎপর হয়ে উঠেছেন কোচবিহার পৌরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, \"আমি অভিযোগ গুলি পেয়েছি। এবং যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। আমি কথা দিচ্ছি যে ভবিষ্যতে মানুষকে আর এই ধরনের কোন সমস্যায় অসুবিধায় পড়তে হবে না\"।
Sarthak Panditনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar