#কোচবিহার: হেরিটেজ কোচবিহার জেলার রাজ আমলে স্থাপিত একটি অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী মন্দির হল এই রাজমাতা মন্দির। এই মন্দিরটি কোচবিহার রাজমাতা দীঘির উত্তরে মদনমোহন বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। প্রায় ১৬৫ বছরের পুরনো এই মন্দির সংরক্ষিত এবং পরিচালিত হয় কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড দ্বারা। তবে এই অন্যতম প্রাচীন মন্দিরটি কবে স্থাপিত হয় সেই বিষয়ে সঠিক জানা যায়নি। বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনুয়ায়ী ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দের অনেক আগে থেকেই এই মন্দিরটির অস্তিত্ব ছিল। যতদূর জানা যায় এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা নরেন্দ্র নারায়ণের জ্যেষ্ঠ রানি মহারানি নিস্তারিণী দেবী। তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই তিনি এটিকে নির্মাণ করেছিলেন।
এই মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এখানে পূজিত হয়ে আসছেন সত্যভামা রাধারমণ এবং দেবী তারা কালি। এখানে নিত্যসেবা হয় সমস্ত ঠাকুরের। এই মন্দিরে রোজ ভিড় লেগেই থাকে দর্শনার্থীদের। এই মন্দির সকাল সাড়ে ৯-টার সময় খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের উদ্দ্যেশ্যে। আর মন্দির বন্ধ করা হয় সন্ধে আরতির পর ৮ টার সময়। এই মন্দিরে দিনে তিন বার পুজো করা হয়। সকালে ১০ টার মধ্যে দেবতাদের আরতি করা হয়। তারপর দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যে ভোগ নিবেদন করা হয় ভগবানকে। তারপর আবার সন্ধ্যে সাড়ে ৭টার সময় সন্ধ্যারতি করা হয়।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে উড়তে উড়তে হঠাৎই বাড়ির ছাদে ভেঙে পড়ল বিমান! ধানবাদে ভয়ঙ্কর ঘটনা
আরও পড়ুন: দিল্লির পরে কেঁপে উঠল মধ্যপ্রদেশ! রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৪
এই মন্দিরে রয়েছে মোট তিনটি কক্ষ। রাজ আমলে রাজমাতার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরটি প্রায় ১৬৫ বছরের পুরোনো রাজ আমলের ইতিহাসের কথা বর্ণনা করে। এই মন্দিরে ঠিক সামনেই রয়েছে রাজমাতা দিঘি। দীঘিটিও রাজ আমলে খনন করা হয়েছিল। এখানে দোল পূর্নিমার দিন বড় পুজো করা হয়। এছাড়াও রটন্তি কালী পুজো এখানে প্রচলিত রয়েছে। এছাড়া দিপান্বিতা কালী পুজোরসময় বিশেষ পুজো করা হয় রাতে সময়। তবে এই মন্দির কিছুদিন পূর্বে পুনরায় সংস্কার করা হয়। মন্দিরের চারিপাশ ছেয়ে গিয়েছিল আগাছায়। এবং মন্দিরের ভেতরের অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। তবে বর্তমান সময়ে মন্দিরটি সংস্কার করার পর আবার পুনরায় আগের চেহারায় ফিরে এসেছে।
সার্থক পন্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch Behar news