#কোচবিহার: সমগ্র রাজ্য জুড়েই যখন প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বন্ধ করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। তখন কোচবিহার শহরে রমরমিয়ে চলছে পলি ব্যাগের ব্যবহার। প্রশাসন যতই নিষেধাজ্ঞা জারি করুক, প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগের ব্যবহার কমার যেন কোনো লক্ষণই নেই। সচেতনতামূলক প্রচার, জরিমানা ধরপাকড় করেও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না কোচবিহারে। শহর বাসী থেকে ব্যবসায়ীরা কেউই সচেতন হচ্ছেন না এ বিষয়টি নিয়ে। আর এই নিয়ম ভাঙ্গার খেলাটি দেখতে হচ্ছে কোচবিহার প্রশাসনকে। শহরের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন দোকানগুলিতে প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার চলছে। কোচবিহার প্রশাসন এ বিষয় নিয়ে তৎপরতার সাথে বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করেছে এবং করছে। তারপরেও কেন কমছে না এই প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগের ব্যবহার তা নিয়েই প্রশ্ন উত্তর শুরু করেছে অনেক।
এ বিষয় নিয়ে কোচবিহারের স্থানীয় বাসিন্দা সজল কুমার দাসকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, \"প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে তারপরও কিছু ব্যবসায়ীরা এই ক্যারি ব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন। দোকানে কিছু জিনিস নিতে গেলে খালি হাতে তো নেওয়া সম্ভব নয়। সামান্য কিছু জিনিস না হয় হাতে নেওয়া সম্ভব। তবে জিনিসের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে প্লাস্টিক ক্যারি ব্যাগ নিতে হচ্ছে।\"
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে অবহেলায় মনিষীদের মূর্তি! দ্রুত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার দাবিকোচবিহারের স্থানীয় এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোকানদার জানান, \"প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ বুঝতে হওয়ার পর নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দোকানে কেউ কিছু কিনতে আসলে তাকে খালি হাতে জিনিসটা দিয়ে কি করে। প্লাস্টিক ক্যারিভাগের পরিবর্তে কাগজের ক্যারিব্যাগ সবসময় ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া কাপড়ের ক্যারি ব্যাগের দাম তো অনেকটা।
আরও পড়ুনঃ বয়স বাড়লেও দেশলাইয়ের বাক্স আর কয়েন জমানোর নেশায় বুঁদ কাঞ্চন!তাই সামান্য কিছু জিনিস নিলে কাপড়ের ক্যারিব্যাগ তো দেওয়া সম্ভব নয়। এখন প্রশাসনিক বিবেচনা করে দেখুন আমাদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি কি করে পাওয়া সম্ভব।\"তবে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞ সত্বেও কোচবিহারের বাজারে যেভাবে রমরমিয়ে চলছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। সে বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমী সংস্থার বিভিন্ন মানুষেরা।
Sarthak Panditনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar