#মাথাভাঙ্গা: মাথাভাঙ্গা শহরের সঙ্গে লাগোয়া সুটঙ্গা নদীর বাঁধের প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার সরকারি খাস জমি ধীরে ধীরে অধিগ্রহণ করে নিচ্ছেন মাথাভাঙ্গার কিছু সাধারণ মানুষ। সামনা সামনি দেখলে কোন ভাবেই বোঝার উপায় নেই যে এটা আসলে বাঁধ নাকি বসত জমি। গুরুতর এই অভিযোগ নিয়ে ১লা জুন বুধবার মাথাভাঙ্গা পৌরসভা দফতরে উপস্থিত হন মাথাভাঙ্গার কিছু সচেতন নাগরিকেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ডক্টর সনাতন ঘোষ জানান, "দীর্ঘদিন থেকে ধীরে ধীরে জমিগুলো অধিগ্রহণ হয়েই যাচ্ছে। যে যার নিজের ইচ্ছে মত ব্যবহার করছে এই জমি গুলো। এটা কোন অবস্থাতেই মেনে নেওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য নদী গুলির মত এই নদীও বন্যা প্রবণ হয়ে পড়ে বৃষ্টির সময় আসলেই।" তিনি আরও বলেন 'বাঁধ সংলগ্ন বসতি এলাকায় অবশ্যই ইঁদুর থাকবে, এবং তাদের বসবাসের অন্যতম প্রিয় জায়গা হয়ে উঠবে এই বাঁধ। এতে কিন্তু সব দিক থেকে বাঁধেরই ক্ষতি হবে।'
এই বিষয়টি আলোচনা হওয়ার পর মাথাভাঙ্গা পৌরসভার পৌরপ্রধান লক্ষপতি প্রামানিক সরাসরি অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দিয়েছেন জেলা সেচ দপ্তরের দিকে। তিনি বলেন, "এর আগেও একাধিকবার পৌরসভার পক্ষ থেকে বাঁধে অযাচিত বসতি বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট বাধার সম্মুখীন হয়েছিলাম।" তিনি অভিযোগের সুরে জানান, 'সেচদফতর সে সময় কোন রকম ভূমিকাই পালন করেনি। কাজেই সেচ দফরের কোনও ভূমিকা না থাকলে শুধুমাত্র পৌরসভার একা নিজের দায়িত্বে এই ধরণের কাজ করা সম্ভব নয়। তবে পৌরসভার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সচেতনতার জন্য অ্যানাউন্সমেন্ট এবং মাইকিং দুটোই করা হয়েছে।' এই বিষয়ে বাঁধ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা খগেন দাশ, পল্লবী ওরাও, কাকলি ঘোষদের বক্তব্য, "আমাদের থাকার জায়গা নেই, দীর্ঘ দিন থেকে আমরা ভূমিহীন। যেখানে থাকার জায়গা পাচ্ছি সেখানেই থাকার চেষ্টা করছি। সরকার যদি আমাদের তুলে দেয় তাহলে আমাদের থাকার ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে।"
মাথাভাঙ্গার মহকুমা শাসক অচিন্ত্য কুমার হাজরা বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল। আমরা ইতিমধ্যে উচ্চতম কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি, সেখান থেকে যেভাবে নির্দেশ আসবে সেভাবেই কাজ করতে হবে।"
Sarthak Pandit
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar