#কোচবিহার: ইতিমধ্যেই হেরিটেজ তকমা সেজেছে কোচবিহার শহরের মুকুটে। তবে সেই তকমার জেল্লা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে শহর কোচবিহারের কিছু দুর্দশার চিত্র সামনে আসার কারণে। কিছুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে চলছে একটানা বৃষ্টি। তবে বিগত দুই-তিন দিনের লাগাতার বৃষ্টিতে কোচবিহার শহরের বুকে জমতে শুরু করেছে জল। কিন্তু বৃষ্টি কিছুটা কমলেও জল নামছে না রাস্তা থেকে। আর এই জমা জলের মধ্যে দিয়েই চলাফেরা করতে হচ্ছে কোচবিহারের বাসিন্দাদের। মূলত এই কারণেই ক্ষোভে ফুসছেন কোচবিহারের একাধিক বাসিন্দারা।
কোচবিহার জেলা সেচ দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ তারিখে কোচবিহারে মোট বৃষ্টি পাতের পরিমাণ ছিল ২৯.৯০ মিলিমিটার। ২৮ তারিখে মোট বৃষ্টি পাতের পরিমাণ ছিল ২৩১.৫০ মিলিমিটার। এবং ২৯ তারিখে মোট বৃষ্টি পাতের পরিমাণ ছিল ৭৬ মিলিমিটার। তবে এই একটানা বৃষ্টিতে যেমন বেড়ে উঠেছে নদীর জল। তার পাশাপাশি শহরের বুকেও জল জমে রয়েছে অনেকটা। নিকাশির বেহাল দশার কারণে শহরের মধ্যে থেকে জল নামতে চাইছে না। তবে এই বিষয় নিয়ে কোনপ্রকার মন্তব্য করতে নারাজ কোচবিহার জেলা প্রসাশন।
কোচবিহার সেচ দফতরের ঠিকানার গুগল ম্যাপ:
কোচবিহার সেচ দফতরের ফোন নম্বর:03582-228 305
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, "সামান্য বৃষ্টি হলেই কোচবিহার শহরে জল জমতে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায়। তবে বিগত তিন দিন ধরে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। আর তার ফলে নালাএবং রাস্তা প্রায় সমান হয়ে গেছে। কোচবিহারে নিকাশি ব্যবস্থার এমন দুরবস্থার কারণে রাস্তা থেকে জল নামতে চাইছে না। কোচবিহারের জেলা প্রশাসনের এটি দেখা উচিত। কারণ এই জল এতটাই অস্বাস্থ্যকর যে এটি পেরিয়ে চলাচল করলে যে কোন মানুষের শরীর খারাপ হতে বাধ্য"।
তবে এই বিষয়টি নিয়ে কোচবিহার পৌরসভার বর্তমান পৌরপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, "কোচবিহার পৌরসভা তৎপরতার সাথে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করব। ভবিষ্যত দিনগুলিতে সাধারণ মানুষের আর এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না"।
কোচবিহার পৌরসভার ঠিকানার গুগল ম্যাপ লিঙ্ক:
এখন দেখার বিষয় এটাই যে হেরিটেজ তকমা প্রাপ্ত শহর কোচবিহারের এই দুর্দশার অবসান কবে হয়। এবং কত দিনে কোচবিহারে স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাচ্ছন্দ ভাবে রাস্তাতে চলাফেরা করতে পারে।
সার্থক পন্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar, Monsoon, Rainy season