হোম /খবর /কোচবিহার /
অবাক কাণ্ড! ছুটি কাটানোর দুর্দান্ত এই স্থানে লাগে না প্রবেশমূল্য, যাবেন নাকি?

Tourism Story: অবাক কাণ্ড! ছুটি কাটানোর দুর্দান্ত এই স্থানে লাগে না কোনও প্রবেশমূল্য, যাবেন নাকি?

X
সুন্দর [object Object]

Tourism Story: এই পার্কটির মূল আকর্ষণ রাজ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিসৌধ এবং কেশব আশ্রমের উপাসনালয়ের সংরক্ষিত ঘর। দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপকে সহজেই কাটিয়ে ফেলা সম্ভব এই পার্কে ঘুরতে এসে।

  • Local18
  • Last Updated :
  • Share this:

#কোচবিহার: কোচবিহার জেলায় রাজ আমলের ঐতিহ্য এবং স্মৃতিবিজড়িত একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হল কোচবিহার রানিবাগান। এই  রানিবাগান একসময় কেশব আশ্রম নামে পরিচিত ছিল। পার্কের ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি চৌচালা আর তাতেই রয়েছে রাজপরিবারের বিভিন্ন সদস্য  মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ, রাজরাজেন্দ্রনারায়ণ, রাজকুমার হিতেন্দ্রনারায়ণ, প্রতিভাদেবী এবং মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্রনারায়ণের স্মৃতিসৌধ। এছাড়াও পার্কের একটি অংশে রয়েছে কেশব আশ্রমের উপাসনালয়ের সংরক্ষিত ঘর।রানি বাগানের গুগল ম্যাপ লিঙ্ক: https://maps.app.goo.gl/GS6KaevZ2bphQedN9১৮৮৯ সালের ১৪মে,  বাংলা ১২৯৬ সনের ১ জ্যৈষ্ঠ এই কেশব আশ্রম স্থাপিত হয়। প্রাথমিক ভাবে ৪.৫ একর জমিতে এই পার্কটি থাকলেও ১৯৫২ ও ১৯৫৪ সালে বন্যায় তোর্সা ভাঙনের পর আর ভূমিক্ষয়ে ছোট হয়ে গিয়ে বর্তমানে এর পরিসীমা ২.১৭ একরে গিয়ে ঠেকেছে।বর্তমানে এই রানিবাগান পার্কটির সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কোচবিহার বন দফতর। এছাড়া রাজ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতিসৌধ এবং কেশব আশ্রমের সংরক্ষণের এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।

আরও পড়ুন: হঠাৎ ঢুকে পড়লেন 'রাধা-গোবিন্দ' মিষ্টির দোকানে! তারপর...? ত্রিপুরায় জনসংযোগে মমতা! সঙ্গী অভিষেক

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় শাহী প্রচারে নিশানায় 'তিপ্রামোথা'! তুমুল তোপ বাম-কংগ্রেস জোটে! নামই নিলেন না তৃণমূলের

পার্কের পযিছনদিকেই রয়েছে কোচবিহার তোর্সা নদীর বাঁধ। এখানে নদীতে পারাপার করার জন্য ফেরি পারাপারের ব্যবস্থা রয়েছে। সারাদিন প্রচুর মানুষ এখান দিয়ে নদী পারাপার করে থাকেন। এই পার্কের পাশেই নদী থাকার কারণে পার্কে সুন্দর ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় সবসময়। গরমে কিংবা শীতে দুই সময়েই এই পার্কে আসলেই আপনার মন ভরে উঠবে। সকালে কিংবা বিকেলে দিকে এখানে আসলে আপনার মন ছুঁয়ে যেতে বাধ্য এই পার্কের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।এই পার্কটিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও মূল্য লাগে না। বিনামূল্যেই এখানে প্রবেশ করা সম্ভব। পার্কে গাড়ি নিয়ে আসলেও কোন আলাদা মূল্য দিতে হয় না। পার্কের অপর একটি অংশে রয়েছে বাচ্চাদের জন্য কিছু খেলার সরঞ্জাম। দৈনন্দিন জীবনের কাজের চাপকে সহজেই কাটিয়ে ফেলা সম্ভব এই পার্কে ঘুরতে এসে। ইতিমধ্যেই এই পার্কটি পুনরায় সংস্কারের কাজ ও শুরু করা হয়েছে।সার্থক পন্ডিত

Published by:Rachana Majumder
First published:

Tags: Cooch Behar news