কোচবিহার: সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ। তবে ঘটনার পর এলাকার থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত। পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইপোর কুড়ুলের আঘাতে মৃত্যু হল আবেদ আলি মিঁয়া নামের এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট ধাপেরচাত্রা এলাকায়। ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
মৃতের ছেলে আবু কালাম মিঁয়া জানান, “মাঝেমধ্যেই নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করত তাঁর জেঠতুতো ভাই সেরাজুল মিঁয়া। আজ সকালে তিনি ঘরে কাজ করছিলেন এবং তাঁর বাবা বাইরে গরু চড়াচ্ছিল। সেই সময় তাঁর ওই ভাই সেরাজুল মিঁয়া বাড়ির পাশে কুড়ুল দিয়ে সুপুরি গাছ কাটছিল। সেরাজুলকে তাঁর বাবা গাছ কাটতে বাধা দিলে অভিযুক্ত সেরাজুল মিঁয়া গালিগালাজ করতে থাকে এবং আচমকা কুড়ল দিয়ে মাথায় কোপ দেয় তাঁর বাবার।”
এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবেদ আলি। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সুরজিৎ মণ্ডল, মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মাথাভাঙার সিআই অজয় মণ্ডল এবং শীতলকুচি থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী-সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত সেরাজুল মিঁয়াকে আটক করার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মাথাভাঙা মহকুমা পুলিশ মর্গে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ নেওয়া গিয়েছে গোটা ঘটনার বিষয় নিয়ে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ আধিকারিকেরা।
সার্থক পণ্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।