#কোচবিহার: কোচবিহারে মাটির ভাড়ে বিকোচ্ছে চা। বিক্রি বাড়ছে চায়ের। মূলত মাটির প্লাস্টিক কিংবা কাগজের কাপের চাইতে মাটির ভাড়ে আগের চাইতে স্বাদ অনেকটাই বেড়েছে চায়ের। আর তাই বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে চা বিক্রি। আগে যেখানে সারা দিনে একজন চা বিক্রেতা মোট ২০০ কাপ চা বিক্রি করত। সেই চা বিক্রেতা বর্তমান সময়ে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ কাপ চা বিক্রি করছেন সারাদিনে। এমনই একজন চা বিক্রেতা সুদীপ মজুমদার জানান, "আগের চাইতে চা বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে আমাদের। আগে যেখানে সারা দিনে সব মিলিইয় মত ১০০০ টাকার চা বেচতে পারতাম। বর্তমান সময়ে সারাদিনে তার দ্বিগুণ রোজগার করছি। প্রায় ২৫০০ টাকার মতন। আসলে এই চা বিক্রি বাড়ার অন্যতম কারণ আমার বর্তমানে সম্পূর্ন মাটির ভাড়ে চা বিক্রি করছি। আর তার ফলেই মানুষেরা বেশি করে আসছে আমাদের দোকানে চা খেতে।"
দোকানে চা খেতে আসা অপু দে নামের একজন ব্যক্তি বলেন, "আমার বাড়ি কাছেই, তাছাড়া এখানে সামনেই কাজ করি তাই এখন থেকেই চা খাই। আর মাটির ভাড়ে চা বিক্রি শুরু করার ফলে চা বিক্রি বেড়েছে এটা সত্যি। কারণ মাটির ভাড়ে চায়ের স্বাদ এবং গুণ দুটোই বেড়ে যায়। তাই মানুষেরা প্লাস্টিক কিংবা কাগজের কাপের চাইতে মাটির ভাড়ে চা খেতে বেশী পছন্দ করেন।
আরও পড়ুনঃ নিউজ ১৮ লোকাল খবরের জের! শুরু হল বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজকোচবিহারের বিভিন্ন অংশ ঘুরে এবং বিভিন্ন চা দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানতে পারা গেল বর্তমান সময়ে সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্লাস্টিকের ব্যবহার। যে কোন দোকানেই প্লাস্টিকের কোন ব্যবহার দেখতে পেলেই জেলা প্রশাসন থেকে তাকে সচেতন করে দেওয়া হচ্ছে। তাই ধীরে ধীরে সকলে প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ রান্না ঘরে ইঁদুরের গর্তে এটা কী! মাটি খুঁড়তেই ভয়াবহ দৃশ্য! আতঙ্ক এলাকায়সেটারই প্রতিফলন স্বরূপ ধীরে ধীরে মাটির ভাড়ে চা খাওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কোচবিহারবাসীর। এছাড়া আরও এক চা বিক্রেতা তাপস মহন্ত বলেন, "কাগজের কাপ এবং প্লাস্টিক কাপ যে ধরনের দ্রব্য দিয়ে তৈরি সেটি মানুষের শরীরের পক্ষে সত্যি খুব ক্ষতিকর। তাই মানুষ সেগুলিতে আর চা খেতে চাইছেন না। তাই মাটির ভাড়ে চায়ের বিক্রি বেড়েছে।"
Sarthak Panditনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar, Tea