#নিশিগঞ্জ: হাই কোর্টের নির্দেশে প্রেমিকার চাকরি যেতেই বিয়ে করতে নারাজ প্রেমিক! প্রণব নামের ছেলের সঙ্গে বছর পাঁচেক প্রেমের সম্পর্ক বলে দাবি করছেন ওই তরুণী। আপাতত সেই কারণে কোচবিহারে নিশিগঞ্জের রোনিবাড়ি এলাকায় ছেলের বাড়িতে ধর্নায় বসেছিলেন তরুণী। তবে বাড়ির বাইরে ধর্নায় বসে থাকার কারণে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। তাই ছেলের মা বর্তমানে সেই তরুণীর ওপরে কিছুটা মানবিক হয়ে, ছেলের থাকার ঘরেই সাময়িক ভাবে ঠাই দিয়েছেন তরুণীকে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন তরুণীর বাড়ির লোকেরা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। বিভিন্ন জেলায় সেই সব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকাও পৌঁছে গেছে ইতিমধ্যে। কোচবিহারের ও ৩২ শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ওই তালিকায়। তার মধ্যে রয়েছেন কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার এই তরুণীও। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। সেই চাকরি থেকে অতি সম্প্রতি তিনি বরখাস্ত হয়েছেন হাই কোর্টের নির্দেশে।
প্রেমিক প্রণব পেশায় ছিলেন নিশিগঞ্জ কলেজ এবং ঘোকসাডাঙ্গা কলেজের অতিথি শিক্ষক। আপাতত সে পলাতক অবস্থায় রয়েছে। এই বিষয়ে কোন রকম মন্তব্য পাওয়া যায়নি তাঁর। তবে তাঁর মা জানান, "উভয় বাড়ির থেকেই দেখাশোনার পর্ব হয়ে গিয়েছিল কিছুদিন আগেই। এবং মেয়ের বাড়ির সবার পছন্দ ছিল আমার ছেলেকে। তবে ছেলে আচমকা কেন এই পদক্ষেপ নিল এই বিষয় নিয়ে আমি কিছুই জানি না।"
এই বিষয়ে এলাকার স্থানীয় মানুষেরা জানান, "স্বভাবগত ভাবে প্রণব খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। সে এই ধরনের কান্ড ঘটাবে এটা তারা বুঝতেই পারেননি। তবে প্রণবের উচিত মেয়েটিকে মেনে নিয়ে এখন বিয়ে করা।" এছাড়া তরুণীর ভাই জানান, "উভয়ের মধ্যেই প্রমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তারপর ছেলেকে দেখে আমরা বাড়ির লোকেরা পছন্দ ও করেছিলাম। তবে আচমকা ছেলের এই ধরনের আচরণে আমরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছি। এখন আমাদের একটাই দাবি যে ছেলে ফিরে আসুক। এবং মেয়েকে মেনে মেনে নিয়ে বিয়ে করুক।"
সার্থক পন্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla News, Cooch behar, SSC