#কোচবিহার: সময়ের সাথে সাথে তোর্ষা বাঁধের রাস্তার বিভিন্ন বাঁকে গজিয়ে উঠেছে অসংখ্য আগাছা এবং ঝোপঝাড়। যেগুলির কারণে রাস্তার বাঁক গুলিতে একদিক থেকে অপর দিকে দেখতে পাওয়া যায় না। এছাড়াও বাঁধের পাশে অনেকের বাড়ি রয়েছে। যারা নিজের বাড়ির সামনের বাঁধের রাস্তা দখল করে সেখানে ইঁট, বালি এবং পাথর রেখে বাড়ি বানানোর কাজ করছেন। এবং অনেকে নিজের গাড়ি বাঁধের রাস্তাতেই পার্কিং করে রেখে দিচ্ছেন। তার ফলে এই রাস্তার অংশ কমে গিয়েছে এবং এর জেরে যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার প্রবল সম্ভবনা সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তাটিতে রয়েছে অসংখ্য বাঁক, যে গুলিতে একটুও অসাবধান হয়ে গাড়ি চালালেই ঘটতে পারে বিপদজ্জনক দুর্ঘটনা। এছাড়া এই রাস্তায় গাড়ি চালানোর স্পিড লিমিট বেধে দেওয়া সত্বেও গাড়ির চালকেরা সেটি অধিকাংশ সময়ই মানেন না। এই সমস্ত কারণে তোর্ষা বাঁধের কোচবিহারের বাইপাস রাস্তা আজ একটা আস্ত মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। তবে এই বিষয় গুলি নিয়ে রীতিমত উদাসীন জেলা প্রশাসনিক মহলের একাংশ।
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দার বক্তব্য “যেভাবে এই রাস্তার বাঁকে বাঁকে আগাছা জন্মেছে তার ফলে অধিকাংশ সময় রাস্তায় চলাচলের বাঁক নিতে গেলে কিছু দেখা যায় না। এছাড়া এলাকার কিছু মানুষ বাঁধের রাস্তা দখল করে বাড়ি বানানোর সামগ্রি রেখে দিয়েছে এবং অনেকে তো নিজের গাড়িও রাখছেন তার ফলে সেই জায়গা গুলিতে রাস্তার অংশ ছোট হয়ে গিয়েছে। এই সব কারণে যেকোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে কাউকে বলে কোন লাভ হচ্ছে না”।
কোচবিহার শহরের যানবাহনের ভীড় একটা সময় এতটাই বেশী মাত্রায় ছিল যে, সেই ভিড় কমাতে কোচবিহার জেলা প্রশাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করে তোর্ষা বাঁধের ওপর দিয়ে কোচবিহার শহরের একটি বাইপাস রাস্তা করার। সেই পরিকল্পনা মতন কাজও সম্পন্ন করা হয়। যে রাস্তাটি তৈরি হয় সেটি খাগড়াবাড়ি এলাকা থেকে সোজা ঘুঘুমারি এলাকাতে গিয়ে মিশেছে। এই রাস্তাটি যখন নির্মান করা হয় তখন তার দায়িত্ব ছিল পাবলিক ওয়ার্কার্স ডিভিশনের ওপর। কিন্তু এই রাস্তা তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে রাস্তা এবং রাস্তার পার্শবর্তী অংশের রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেয়নি জেলা প্রশাসনিক মহল।
তবে এই বিষয়ে কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কোচবিহার শহরের পশ্চিম পাশ দিয়ে তোর্ষার বাঁধের রাস্তার ওপর যে সমস্ত আগাছা জন্মেছে। এগুলি থাকার কারণে যারা যানবাহন চালান তাদের যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিশেষ করে বাঁক নেওয়ার সময় তাদের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা কোচবিহার পৌরসভার পক্ষ থেকে এই সমস্ত আগাছা এবং রাস্তার অবসট্রাকশন গুলি ইতিমধ্যেই সরিয়ে দেওয়ার ব্যাবস্থা করব। যাতে কারোও যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে কোন রকমের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।”
সার্থক পন্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar