#কোচবিহার: গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ বাড়তেই নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে কোচবিহার জেলার মানুষের। আবার অন্যদিকে এই তাপপ্রবাহ অনেক ব্যবসায়ীর মনে নিয়ে এসেছে খুশি আমেজ। কোচবিহারের ডোডেয়ার পাড় এলাকার গ্রামীন হাটে রীতিমত বিক্রি বেড়েছে শীতলপাটি, বাঁশের তৈরি হাতপাখা এবং মাটির হাঁড়ি-কলসির। রাজ আমল থেকেই সপ্তাহে দু’দিন করে এই ডোডেয়ার পাড় এলাকায় হাট বসে। এই হাটেই কয়েক পুরুষ ধরে জিনিস বিক্রি করে আসছেন রথিন পাল, পরিতোষ চন্দ্রকিট এবং জীবন সূত্রধর। তারা বলেন, “সারা বছর ধরে তাদের এই জিনিস গুলির তেমন একটা চাহিদা থাকে না। তবে গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহ শুরু হতেই চাহিদা বাড়তে শুরু করে তাদের এই সমস্ত জিনিস গুলির। এবছরেও তার বিপরীত ছবি দেখা যাচ্ছে না”।
প্রচন্ড গরমে মাটির হাঁড়ি কিংবা কলসিতে রাখা জল অনেকটা সময় ধরে ঠান্ডা থাকে। এবং বাঁশের তৈরি হাতপাখার শীতল হাওয়ার এককথায় জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া কোচবিহার জেলার অন্যতম বিখ্যাত জিনিসটি হল বেতের তৈরি শীতলপাটি। যেটি কোচবিহারের বিক্রি হলেও কোচবিহারের বাইরেও প্রচুর পরিমানে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। প্রচন্ড গরমে এই শীতলপাটির ওপর হালকা জল ছিটিয়ে মুছে নিয়ে তার ওপর শুয়ে পড়লেই হল। ব্যস ওমনি গরম একেবারে কমে গিয়ে শীতল আমেজে মেতে উঠবে মন।
আরও পড়ুন - বৈরাগী দিঘীতে বন্ধ পড়ে আছে কাস্টমাইজড শো অ্যাকুয়াস্ক্রিন! নষ্ট হচ্ছে ইকো সিস্টেম
আরও পড়ুন - 'রেডিও কোচবিহার 89.6 F.M.' রাজ শহরের নিজস্ব বেতার, বেজায় খুশি বাসিন্দারা
আধুনিক যুগে গ্রীষ্মের সময় এলেই আমরা ফ্যান, বৈদুতিক কুলার এবং এসির কথা ভাবতে শুরু করি। এই যুগে এসে এখন আর কেউ বেতের তৈরি শীতলপাটি, বাঁশের তৈরি হাতপাখা এবং মাটির হাঁড়ি-কলসির কথা তেমন একটা ভাবে না। তবে এই যুগে এসেও অত্যাধুনিক সভ্যতার যন্ত্রপাতির সাথে পাল্লা দিতে সক্ষম এই সব মধ্যে যুগীয় জিনিস গুলি। এছাড়াও এদের থেকে ছড়ায় না কোন পরিবেশ দূষণ। ব্যবহার করতে লাগে না কোন ধরনের বিদ্যুৎ। এছাড়াও এই জিনিস গুলির সাথে জড়িয়ে আছে মাটির গন্ধ। এখনও কোচবিহারের বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও সমান ভাবে সচল এই সকল জিনিস গুলি।
সার্থক পন্ডিত
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch Behar news, Heatwave, Summer