#নয়াদিল্লি: উপলক্ষ দুই রাজ্যের বিধানসভা ভোট। কিন্তু নজরে ২০১৯-এর লোকসভা ভোট। তাই রাজ্যের উন্নয়ন থেকে মোদি-রাহুলের গলায় অনেকটাই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের স্বার্থ। তাই যুযুধান দু'পক্ষের ভাষণেই উঠে আসছে ডোকলাম-হিন্দুত্ব ভোটের মতো ইস্যু।
বুধবার গুজরাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি। এদিন যার পালটা হিসেবে হিমাচলপ্রদেশকে বেছে নিলেন নরেন্দ্র মোদি। কাঙ্গরার জনসভায় এদিন তাঁর ভাষণে উন্নয়নের বার্তা যত না ছিল, তার থেকে জোরাল ছিল কংগ্রেসকে রাজ্যের ক্ষমতা থেকে দূর করার ডাক। যে প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে লাফিং ক্লাব বলেও ব্যঙ্গ করতে ছাড়লেন না মোদি।
ভারত-চিন সীমান্ত ছড়িয়ে রয়েছে হিমাচলপ্রদেশেও। সম্প্রতি শিরনামে আসা ডোকলাম সিকিমে হলেও, হিমাচলের ভোটে সেটাও অস্ত্র করলেন মোদি। তুললেন জাতীয়তাবাদের ধুয়ো।
হিন্দুত্ব তাস খেলার কৌশল নেয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির বিরুদ্ধে বরাবরই এই অভিযোগ কংগ্রেসের। পালটা সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তোলে বিজেপি। এদিন ভোট প্রচারের মাঝেই গুজরাতের সুরাতে মন্দির দর্শনে গিয়ে যার পালটা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলেন রাহুল গান্ধি।
প্রচারের ইস্যু যাই থাকুক, বিরোধীপক্ষের ক্ষমতায় থাকা রাজ্যে গিয়ে ভালই সাড়া পাচ্ছেন মোদি-রাহুল। জনসভার ভিড়ে টেক্কা দিচ্ছেন দুই শীর্ষ নেতাই।