#নয়াদিল্লি: আর মাত্র দু'দিন। করোনা-বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে বাজেট নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্র অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন বাজেট থেকে কী আশা করছে দেশের উদ্যোগপতি থেকে শুরু করে নতুন ব্যবসায়ী তথা স্টার্ট-আপের ক্ষেত্র? আসুন দেখে নেওয়া যাক কী বলছেন দেশের তরুণ প্রজন্ম ও নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন!
ব্যবসা-সহ পুরো অর্থনীতিকেই দারুণ ধাক্কা দিয়েছে ২০২০। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসাগুলিও ক্রমবর্ধমান লোকসানে জর্জরিত হয়েছে। MSME অল্প ঘুরে দাঁড়ালেও লড়াই ক্রমেই কঠিন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ বা স্টার্ট-আপের ক্ষেত্রটিতে মিশ্র ফলাফল দেখা গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ডিজিটাল, অত্যাবশ্যক পণ্য-সহ একাধিক ক্ষেত্রে চাহিদা ক্রমে বেড়েছে। যা একাধিক স্টার্ট-আপকে দারুণ লাভ দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের বাকি একাংশের কথায়, বিগত বছরে ব্যবসা কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায়নি। সংক্রমণের কোপে একাধিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। অর্থের জোগান, মুনাফা, সাপ্লাই চেইন, ডিস্ট্রিবিউশন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে ভুগতে হয়েছে। অনেক স্টার্ট-আপ দাঁড়াতেই পারেনি। অনেকে পিছিয়ে গিয়েছেন। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে আসন্ন বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে কী আশা করছে দেশের স্টার্ট-আপগুলি? দেশের নানা প্রান্তের স্টার্টআপের সঙ্গে যুক্ত নতুন উদ্যোগপতিদের কথায়, সবাই এখন পোস্ট প্যানডেমিক রিকভারির দিকে তাকিয়ে। এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রথমেই, স্টার্টআপের ক্ষেত্রে যে নিয়ম-নীতি রয়েছে, তার সরলীকরণ করতে হবে। এর পর বিনিয়োগ সহযোগী অর্থাৎ ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেন্ডলি রেগুলেশন আনতে হবে। বিনিয়োগের পরিধি বাড়াতে হবে। এর জেরে নগদ পুঁজি বাড়বে। আর ডোমেস্টিক ক্যাপিটাল বাড়লে বুকে বল পাবেন উদ্যোগপতিরা। একই বক্তব্য স্পষ্ট হয়েছে Urban Company-এর কো ফাউন্ডার অভিরাজ সিং ভল (Abhiraj Singh Bhal) ও IVCA-এর ভাইস চেয়ারম্যান কার্তিক রেড্ডি (Karthik Reddy)-র কথায়।
স্টার্ট-আপের জন্য বাজেটের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে খানিকটা একই প্রত্যাশা করেছেন Indian Angel Network-এর কো-ফাউন্ডার ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ্মজা রূপারেল ( Padmaja Ruparel)। তবে এগুলির পাশাপাশি তাঁর বার্তা, বাজেট থেকে একটি বৃদ্ধি-সহায়ক পরিবেশ দরকার। আমদানি, রপ্তানি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর ও শুল্ক ছাড়েও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি ও ন্যাশনাল ই-কমার্স পলিসি নিয়েও চিন্তাভাবনা করতে হবে সরকারকে। আর একটি বড় বিষয় হল FDI। ক্ষেত্র বিশেষে বাড়ানো যেতে পারে বিদেশি বিনিয়োগ। একইসঙ্গে কোলাটেরাল ফ্রি লোন, ইন্টারেস্ট সাবভেনশন স্কিমেও নজর দিতে হবে। আপাতত অপেক্ষা জারি। সরকার কী সিদ্ধান্ত নেবে, যাবতীয় উত্তর মিলবে ১ ফেব্রুয়ারি!