#নয়াদিল্লি: ১০ ফেব্রুয়ারি যোগী রাজ্যে ভোট। তার ঠিক ১০ দিন আগে ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, ফেব্রুয়ারিতেই উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরেও বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget 2022) ভোটমুখী রাজ্যগুলির জন্য বাড়তি সংস্থান করা হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, বাজেটের প্রভাব নির্বাচনে পড়তে বাধ্য।
কাকতালীয় হলেও ২০১৭ সালেও একই জিনিস দেখেছিল দেশ। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও (Arun Jaitley) বাজেট পেশ করেছিলেন উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, গোয়া ও মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরুর দশ দিন আগে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্বসূরী প্রয়াত অরুণ জেটলির বাজেট প্রস্তাবকেই অনুসরণ করবেন নির্মলা সীতারমণ। বিরোধীদের আশঙ্কা, বাজেটে (Union Budget 2022) জনমোহিনী প্যাকেজ ঘোষণা করে ওই ৫ রাজ্যে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী ফায়দা তুলবে বিজেপি।
আরও পড়ুন- বাজেটে এই ১০ পদক্ষেপ নিতে হবে নির্মলাকে, তবেই হাসি ফুটবে আমজনতার মুখে!
উত্তর প্রদেশের অর্থনীতি পুরোপুরি গ্রাম এবং কৃষি নির্ভর। তাই ২০১৭-য় অরুণ জেটলির বাজেটের অভিমুখ ছিল গ্রাম। এর ফায়দাও তোলে বিজেপি। উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় আসে দল। একই কথা প্রযোজ্য উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, মণিপুরের ক্ষেত্রেও। এরমধ্যে পাঞ্জাবে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। বাকি দুই রাজ্যে সরকার গড়ে বিজেপি। আবার কৃষিকে অগ্রাধিকার দেওয়া বাজেটে খনি শিল্পের বিকাশের কথা ছিল গোয়ার স্বার্থ রক্ষায়, যা ওই রাজ্যের অর্থনীতির অন্যতম কাঠামো।
আরও পড়ুন- ২০১৭ সালে রেল বাজেটকে কেন কেন্দ্রীয় বাজেটে জুড়ে দেওয়া হয়? জানুন কারণ
ফলে অনেকেই মনে করছেন যে এবারের কেন্দ্রীয় বাজেটও হবে ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের কথা ভেবে। আর গ্রামীণ বাজেট বরাবরই জনপ্রিয় তকমা পেয়ে থাকে। যা থেকে বিজেপি অনেকটা সুবিধা পেতে পারে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অর্থনীতিবিদ প্রণব সেনের মতে, ‘বাজেটে বেশ কিছু জাতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তর প্রদেশের মানুষকে আকৃষ্ট করার একটা চেষ্টা করা হবে’। তবে ডেলয়েট ইন্ডিয়ার অর্থনীতিবিদ রুমকি মজুমদার বলছেন, ‘এবারের বাজেটে কর্মসংস্থান তৈরিতেই বেশি মনোযোগ দেবে সরকার’।
করোনা আবহে কর ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা চলছে। তেমনটা হলে চাকরিজীবীরা স্বস্তি পাবেন, সন্দেহ নেই। তবে মধ্যবিত্তের জন্য বাজেটে কী থাকে সেদিকেও নজর থাকবে সবার। তবে উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ভোটারদের বড় অংশের উপর কর ছাড়ের প্রভাব খুব একটা পড়বে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের মতে, এবার যদি নতুন কোনও ট্যাক্স চালু না করা হয় বা করের হার না বাড়ানো হয়, তাহলে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় স্বস্তি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।