#কলকাতা: অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana) বাড়ির কাজের লোক, চালক-সহ এই ধরনের পেশার সঙ্গে যুক্ত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ স্কিম। কিন্তু কী ভাবে এই স্কিমের সুবিধা পাওয়া যাবে? কী ভাবে খোলা যাবে অ্যাকাউন্ট? জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
২০১৫ সালে স্বাবলম্বন যোজনা NPS লাইট স্কিমের (Swavalanmban Yojana NPS Lite Scheme) জায়গায় আসে এই অটল পেনশন যোজনা। এ ক্ষেত্রে ১৮-৪০ বছরের যে কোনও ভারতীয় বাসিন্দাই সংশ্লিষ্ট স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই স্কিমের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল পেনশন রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA)। স্কিমটির উপভোক্তাদের মাসিক পেনশনের পরিমাণ ১০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত।
স্কিমের নিয়ম অনুযায়ী, যাঁরা ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগে এই স্কিমে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার । এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মোট জমা টাকার ৫০ শতাংশ বা বার্ষিক ১০০০ টাকা পর্যন্ত যুক্ত করার কথা জানানো হয়েছে। তবে এই মাসিক কন্ট্রিবিউশন বা জমা টাকা নির্ভর করছে মাসিক পেনশনের ফিক্সড অ্যামাউন্টের উপর। এ ক্ষেত্রে বয়সের উপরs নির্ভর করেই প্রিমিয়ামের গণনা হবে। উদাহরণ হিসেবে, যদি কেউ ১৮ বছর বয়সে নাম নথিভুক্ত করান, তা হলে মাসিক টাকার পরিমাণ হবে ৪২ টাকা। আর যদি কেউ ৪০ বছর বয়সে নাম নথিভুক্ত করেন, তা হলে মাসিক টাকা বেড়ে হবে ২৯১ টাকা। এগুলির পাশাপাশি বছরে একবার পেনশনের বরাদ্দ অর্থ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে APY গ্রাহকদের।
তবে, একবার স্কিম শুরু হয়ে গেলে যখন তখন স্কিম ছেড়ে বেরোনো যায় না। যদি স্কিমের উপভোক্তার মৃত্যু হয়, তা হলে ৬০ বছর পর্যন্ত সমান টাকার পেনশনের সুবিধা পাবেন তাঁর স্ত্রী। এ ক্ষেত্রে ৬০ বছরের আগে উপভোক্তার মৃত্যু হলে, তাঁর স্ত্রীর কাছে স্কিম বন্ধ করার বা স্কিম চালু রেখে পুরো টাকা দাবি করার বিকল্প রয়েছে।
এ বার প্রশ্ন, কী ভাবে এই পরিষেবার সুবিধা পাওয়া যাবে? এক্ষেত্রে দেশের সমস্ত পোস্ট অফিস ও জাতীয় স্তরের ব্যাঙ্কগুলিতে উপলব্ধ রয়েছে এই অটল পেনশন যোজনা। তবে এই পরিষেবার সুবিধা পাওয়ার জন্য কয়েকটি সাধারণ বিষয় রয়েছে। এগুলি হল, আবেদনকারীকে ভারতের বাসিন্দা হতে হবে। তাঁর একটি আধার নম্বর ও বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অটল পেনশন যোজনা স্কিমে নাম নথিভুক্তকরণের জন্য নিকটবর্তী ব্যাঙ্কের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়।
অনলাইনেও উপলব্ধ রয়েছে ফর্মগুলি। এ ক্ষেত্রে ফর্মটি ডাউনলোড করে নেওয়া যেতে পারে। পরে তা পূরণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া যাতে পারে। এই পুরো প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হয়ে গেলে আবেদনকারীর রেজিস্টারড মোবাইল নম্বরে একটি SMS পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া নেট ব্যাঙ্কিংয়ের সাহায্যেও APY-এর জন্য নিজেদের নাম এনরোল করানো যেতে পারে এবং অটো ডেবিট পরিষেবার সুবিধা নেওয়া যেতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।