#নয়াদিল্লি: তালিকা এর মধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই প্রকাশ্যে আনা হবে যে ঠিক কোন কোন জিনিসের উপরে আমদানি শুল্ক বাড়তে চলেছে, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে এই কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
এই কথা এখন সকলেরই জানা যে দেশের অর্থনীতিবিদদের একটি দল বিগত কয়েকদিন ধরে থেকে গিয়েছেন পার্লামেন্টের নর্থ ব্লকের বেসমেন্টে। হালুয়া সেরেমনির পর সেখানে তাঁরা তৈরি করে চলেছেন ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের বাজেট। শুক্রবার থেকে শুরু হল বাজেট অধিবেশন। তবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বাজেট পেশ করবেন ১ ফেব্রুয়ারি। এমন পরিস্থিতিতে যে বাজেটের অনেকটাই লিপিবদ্ধ হয়ে গিয়েছে, সে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের কোনও অবকাশ থাকে না।
আরও পড়ুন বাজেট ২০২১: বাজেটে উঠতে পারে স্ট্র্য়াটেজিক স্কেলের কথা, জেনে নিন কী এই স্ট্র্যাটেজিক স্কেল!
তবে জল্পনার অবকাশ অবশ্যই থাকে! সেই সূত্র ধরেই আপাতত বিশেষজ্ঞরা অনুমান করার চেষ্টা করছেন যে ঠিক কোন কোন পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়াতে পারে সরকার! এর আগে খবর মিলেছিল যে সোনা আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। যা এই দেশে সোনার স্মাগলিং রোধে সহায়ক হবে। তার পাশাপাশিই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে নানা ধরনের অটো পার্টস, ইলেকট্রনিক পণ্যেও আমদানি শুল্ক বেড়ে যেতে পারে আগামী অর্থবর্ষে।
প্রাথমিক ভাবে এটাই মনে হয় যে কোনও জিনিসের আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া মানে দেশের উদ্যোগপতিদের সমস্যায় ফেলা। তার পাশাপাশি থাকে জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ার মতো উদ্বেগও। কিন্তু অর্থনীতি এতটাও সোজা পথে চলে না, তার স্বভাব মূলত সূক্ষ্ম। তাই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক- কেন বেশ কিছু পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার?
অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে এর মূলে আছে আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্প। অনেকদিন ধরেই দেশকে স্বনির্ভর করে তেলার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে মোদি সরকার। আমদানি শুল্ক বাড়লে আখেরে দেশের শিল্প লাভবান হয়ে উঠবে। সেক্ষেত্রে দেশের মধ্যেই পণ্য উৎপাদন এবং দেশীয় জিনিস কেনাকাটার প্রবণতা বাড়বে। যা অর্থনীতির উন্নতির সহায়ক হবে।
যে সব জিনিসের উপরে আমদানি শুল্ক বাড়ানো হবে, তার বেশিরভাগটাই আসে চিন থেকে। ফলে এই সিদ্ধান্ত এক দিক থেকে দেখলে চিনা অর্থনীতির উপরে আঘাত হানবে। পাশাপাশি, গুণমানে সস্তা ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজার এদেশে কমাবে। এর মধ্যে রয়েছে জুতো, আসবাব, টিভি পার্ট, কিছু কেমিক্যাল আর খেলনা- এই সব কিছুকেই নন-এসেনসিয়াল পণ্যের তালিকাভুক্ত করা যায়। সেই জন্যই এই ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।