#নয়াদিল্লি: ভারতে আবাসন শিল্পে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে বাড়ি কিনতে গিয়ে ক্রেতাকে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় সেটা হল, ফ্ল্যাট পেতে অত্যাধিক দেরি কিংবা আবাসনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া।
গত বছরে প্রকাশিত অ্যানার্ক প্রপার্টি কনসালট্যান্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৪ সাল বা তারও আগে থেকে চালু হওয়া বহু হাউজিং প্রজেক্ট এখনও শেষ হয়নি। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু প্রজেক্ট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ধাক্কা ভারতের আবাসন শিল্পকে পোহাতে হচ্ছে আজও।
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন, বড় লগ্নির আশায় রাজ্য
সাতটি বড় শহরে ঢিমেতালে চলতে থাকা এমন ১৭৪০০০ বাড়ির সামগ্রিক মূল্য বর্তমানে ১,৪০,৬১৩ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই ইউনিটগুলির মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি ফ্ল্যাটের দাম ৮০ লাখ টাকার কম। এই ধরনের প্রজেক্ট সবথেকে বেশি রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লিতে। তারপর আছে মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে। এখন প্রশ্ন হল, বাড়ি পেতে দেরি হলে ক্রেতারা কী করবেন?
রিয়েল এস্টেট নিয়ন্ত্রকের কাছে অভিযোগ: বাড়ি বা ফ্ল্যাটের অধিকার পেতে বিলম্ব হলে প্রথম বিকল্প হল, রিয়েল এস্টেট রেগুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা রেরা-র কাছে অভিযোগ দায়ের করা। রেরা বাড়ির ক্রেতাকে বিলম্বিত দখলে সুদ দাবি করতে বা জমাকৃত মোট পরিমাণ (সুদ সহ) ফেরত দেওয়ার একটি অপশন দেয়। যদি নির্মাতা ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে, তাহলে রেরা বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। এর মধ্যে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন বাতিল পর্যন্ত বিধান রয়েছে।
আইনি ব্যবস্থা: যদি কোনও ফ্ল্যাটের চাবি পেতে দীর্ঘ বিলম্ব হয় এবং ক্রেতা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তবে তিনি এই বিষয়টি আদালতে নিয়ে যেতে পারেন। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে কোনও বাড়ির ক্রেতা ১৯৯৮ সালে ক্রেতা সুরক্ষা আইনের অধীনে গঠিত বিচার বিভাগীয় কমিশনের কাছে যেতে পারেন পজেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যধিক বিলম্বের জন্য।
আরও পড়ুন: কীভাবে ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করে লাভ করছেন ভারতীয়রা? দেখে নিন একনজরে!
সম্পত্তি বিক্রি: সাধারণত পজেশন পেতে দেরি হলে যেটা হয় সেটা হল টাকার শ্রাদ্ধ। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেওয়া অন্যতম বিকল্প হতে পারে। তবে হ্যাঁ, এক্ষেত্রে ক্রেতা খুঁজে পাওয়া সহজ নয়।
ইএমআই চালিয়ে যেতে হবে: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আটকে থাকা বাড়ির ক্ষেত্রে ক্রেতারা যেন ইএমআই দেওয়া বন্ধ না করেন। ডিএসকে লিগ্যালের নায়েক বলছেন, ‘পজেশন পেতে দেরি হলেও ক্রেতাকে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইএমআই দিয়ে যেতে হবে। নাহলে ক্রেতার বিরুদ্ধে সুদ-সহ জরিমানা হতে পারে।
ক্রেতাদের কী ক্ষতি: সবচেয়ে বড় কথা হল ক্রেতাদের সময় এবং সুযোগ নষ্ট হয়। তাছাড়া আইনজীবীদের ফি দেওয়ার জন্যও টাকা দিতে হয়। তাই ক্রেতাকে সতর্ক থাকতে হবে। কতটা কাজ এগোল, তার ট্র্যাক রাখতে হবে। নির্মাণকারীর কাছে আপডেট নিতে হবে নিয়মিত। আর আইনি পথে হাঁটতে চাইলে একসঙ্গে একাধিক ক্রেতা জোট বাঁধলে তা সুবিধাজনক হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Real Estate