পাটনা: স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই অত্যন্ত ভাল লস্যি। টাক ফাটা রোদে সামান্য লস্যি হলে যেন মন জুরিয়ে যায়। বিশেষ করে, গ্রীষ্মকালে, মানুষ অন্য যেকোনও পানীয়ের চেয়ে লস্যি পান করতে বেশি পছন্দ করেন।
তাহলে চলুন আজকে এমনই একটি লস্যির দোকানের কথা বলি, যেটির বয়স ১১০ বছর। ৬৮ বছর বয়সী দোকানদার লভ কুমারের মতে, এই লস্যির দোকানটি পাটনার প্রাচীনতম দোকানগুলির মধ্যে একটি। এই লস্যির এই দোকানটি পাটনা সাহেবের হরমন্দির গলিতে অবস্থিত, যেখানে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের ভিড় দেখা যায়।
আরও পড়ুন: এই সহজ ও নিরাপদ উপায়ে বাড়ান খেতের উর্বরতা; অনুদান মিলবে সরকারের কাছ থেকে!
দোকানদার লভ কুমার জানান, আগে এই দোকানটি তাঁর দাদু ভগবান জির নামে চলত। লভ কুমারের মা চুকি ছিলেন তাঁর দাদুর একমাত্র সন্তান, তাই পরবর্তীতে এই দোকানটি তার বাবা বাউয়া জি দখল করে নেন। ৬৮ বছর বয়সী লভ কুমার আরও জানান যে এখন তাঁর ছেলে ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে এই দোকান চালাচ্ছেন। দোকানে আলাদা কোনও কর্মী রাখেননি।
পাটনা সাহিব গুরুদ্বারের পাশে থাকার কারণে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও প্রচুর শিখ ভক্তরাও এখানে লস্যি খেতে আসেন। গরম দুধের পাশাপাশি লস্যি, খোয়া, ক্রিম, ফালুদা এবং মিষ্টিও এখানে যুক্তিসঙ্গত দামে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: জেনে রাখুন সোনা কেনার মূলমন্ত্র! আর ঠকাতে পারবে না কেউ
লস্যিকে অকারণে কুস্তিগীরদের পানীয় বলা হয় না। লস্যিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, সোডিয়াম, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার পাওয়া যায়। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ ও গরমে লস্যি পান করলে যা স্বস্তি পাওয়া তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। লস্যি পান করলে শরীরে শক্তি আসে এবং শরীর ঠান্ডাও হয়। লস্যি খেলে হিট স্ট্রোকও এড়ানো যায় বলে মনে করেন অনেকেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।