#কলকাতা: উপার্জন শুরু করার পর থেকেই একাধিক বার নানা বিষয়ে নানা রকমের অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমাদের। কেউ বিমা করেন, কেউ সেভিংস করেন, কেউ আবার কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। অনেকে আবার স্বল্পমেয়াদী বিনিয়োগের কথা ভাবেন। মাথায় রাখতে হবে, ছোট-বড় যে কোনও সিদ্ধান্ত কিন্তু একজন বিনিয়োগকারীর ভবিষ্যতের উপরে প্রভাব ফেলে। তাই বিনিয়োগের আগে কয়েকটি বিষয় দেখে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
১. দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা-ভাবনা করতে হবে
২. নিজের লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করেই বিনিয়োগ করতে হবে
বিনিয়োগের আগে নিজের লক্ষ্য স্থির করে নিতে হবে। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে যেন পরিষ্কার ধারণা থাকে, সেটাও দেখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইনভেস্টমেন্ট থেকে কতটা ফেরত আসবে, কত বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হচ্ছে, কত টাকা করে জমা করতে হবে, সব বিষয় জেনে নিতে হবে। পুরো টাকা বিনিয়োগের ঝুঁকি সামলানো যাবে কি না, সেটাও দেখে নিতে হবে ।৩. বিনিয়োগের একটি যথাযথ দৃষ্টিভঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা আছেএকটি সঠিক টার্মের ও সঠিক রিটার্ন সম্পন্ন বিনিয়োগই লাভ দিতে পারে। বিশেষ করে কোনও ডিরেক্ট ইক্যুইটি বা ইক্যুইটি বেসড মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা রাখতে গেলে এই বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে সর্বাধিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গেলে কোনও লো-রিস্ক লিকুইড ফান্ডে বিনিয়োগ করা শ্রেয়। এর পাশাপাশি সিস্টেমেটিক ট্রান্সফার প্ল্যান (STP)-এর প্রতিও নজর রাখতে হবে। এতে ইনভেস্টমেন্ট থেকে সর্বোচ্চ রিটার্নের বিষয়টিও সুরক্ষিত হয়।
৪. ইনসিওরেন্সের মাধ্যমে নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে হবেসময় ও জীবন- দু'টোই অনিশ্চিত। আর এই করোনা পরিস্থিতি সেই বিষয়টি আরও ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে জীবন ও স্বাস্থ্যের মূল্য। তাই ভবিষ্যৎ ও প্রিয়জনদের কথা ভেবে অনেকেই স্বাস্থ্য বিমা-সহ একাধিক বিমা করেন। কিন্তু নিজের আশা-আকাঙক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে সঠিক বিমার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই কোনও স্বাস্থ্য বিমা প্ল্যানে বিনিয়োগের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে কোনওরকম ঝক্কি পোহাতে হয় না। সেভিংস বা অন্য ইনভেস্টমেন্টে হাত দিতে হয় না। বিমার কৃপায় ভালো চিকিৎসা পরিষেবা পান বিনিয়োগকারী-সহ তাঁর প্রিয়জনরা। তবে বিস্তর পর্যালোচনা করে সঠিক বিমাকে বেছে নিতে হবে। লং টার্ম না শর্ট টার্ম ইনসিওরেন্স করা হচ্ছে, সেটাও একটি বড় বিষয়।
৫. ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের পরামর্শ নিলে ভালযদি একদম কোমর বেঁধেই এই ক্ষেত্রে নামতে হয়, যদি বিনিয়োগের পাশাপাশি ঠিকঠাক রিটার্নের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হয়, তা হলে একজন ঠিকঠাক ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজারের পরামর্শ নিতে হবে। সাহায্য নিতে হবে এমন একজন বিশেষজ্ঞের, যিনি বর্তমান বাজার ও নানা ধরনের ইনভেস্ট স্কিম নিয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। মাথায় রাখতে হবে, এই মানুষটি যেন বিনিয়োগকারীর লক্ষ্য, মূলধনের পরিমাণ, বিনিয়োগে সুদের হার সমস্ত কিছু বিষয়ে খুঁটিনাটি নজর রাখেন এবং প্রকৃত অর্থে সাহায্য করতে পারেন। শুধুমাত্র ব্রোকার হিসেবে নয়, একজন গাইড হিসেবে সাহায্য করেন। তাই, সঠিক ফিনান্সিয়াল অ্যাডাভাইজারের পরামর্শ নিতে হবে। সময়ে সময়ে ইনভেস্টমেন্ট পোর্টফোলিও চেক করতে হবে। তবেই বিনিয়োগের পাশাপাশি টাকা রিটার্নের বিষয়টিও সুনিশ্চিত হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment, Money Return, Mutual Fund