#নয়াদিল্লি: কিছুটা হলেও বাড়ল টাকার দাম। শুক্রবারের ব্যবসার প্রথম ভাগেই মার্কিন ডলারের অনুপাতে ভারতীয় টাকা বা রুপির দাম ৬ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৮.০৪। ফরেক্স ডিলাররা বলেছেন, “উপচে পড়া বিদেশি তহবিল, অভ্যন্তরীণ ইক্যুইটির দুর্বল প্রবণতা এবং শক্তিশালী আমেরিকান ডলারের লাভকে বিদেশে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।“ ইন্টারব্যাঙ্ক ফরেন এক্সচেঞ্জে, মার্কিন ডলারের অনুপাতে ভারতীয় মুদ্রা ৭৮.০৩-য় খুলেছিল এবং শেষ বারের তুলনায় ৬ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮.০৪ টাকায় বন্ধ হয়েছে। আগের সেশনে মার্কিন ডলারের অনুপাতে ভারতীয় মুদ্রা ৭৮.১০ টাকায় বন্ধ হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও সোনায় বিনিয়োগ কি লাভজনক হতে পারে? জেনে নিন বিশদে
ঘরোয়া ইক্যুইটি মার্কেট ফ্রন্টে, ৩০ শেয়ারের সেনসেক্স ২৫১.০৬ পয়েন্ট বা ০.৪৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫১২৪৪.৭৩ পয়েন্টে ব্যবসা করছিল, যেখানে এনএসই নিফটি ৯০.১৫ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১৫২৭০.৪৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ডলার সূচক, যা ছয়টি মুদ্রার একটি বাস্কেটের তুলনায় গ্রিনব্যাকের শক্তির পরিমাপ করে, তা ০.৬০ শতাংশ বেড়ে ১০৪.২৫ হয়েছে। গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার ০.৭৮ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ১১৮.৮৮ ডলারে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার বিদেশি সংস্থাগত বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে নেট বিক্রেতা ছিল, কারণ তারা এক্সচেঞ্জ ডেটা অনুসারে ৩২৫৭.৬৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতিতেও ২২০ শতাংশ পর্যন্ত রিটার্ন দিয়েছে এই মিড ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড
এর মধ্যে আরবিআই বলেছে যে, ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল বাহ্যিক পরিবেশ হওয়া সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান ভাবে পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সম্ভাব্য স্থবিরতার ঝুঁকি থেকে বাঁচার বিষয়ে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভারত ভালো অবস্থানে রয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়ক সচিব অজয় শেঠ বৃহস্পতিবার বলেছেন, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হারে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পরেও কোনও নেতিবাচক প্রভাব ভারতীয় অর্থনীতিতে দেখতে পাওয়া যায়নি। অজয় শেঠ সাংবাদিকদের আরও বলেছেন, “সমস্ত কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এর সঙ্গে লড়াই করছে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। যথেষ্ট পরিমাণে সমন্বয় দেখছি আমি– প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে তাল মিলিয়ে চলছে তারা।”
আরও পড়ুন: অশোধিত তেলের দামে বিরাট পতন! আপনার শহরে কমল কি পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ?
ইউএস ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি বুধবার, ফেডারেল তহবিলের হারের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ বেসিস পয়েন্ট থেকে বাড়িয়ে ১.৫০-১.৭৫ শতাংশ করেছে। জুন মাসের জন্য আরবিআই (RBI)-এর মাসিক বুলেটিন অনুসারে, এপ্রিল মাসে যখন আরবিআই স্পট মার্কেট থেকে ১৯৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্রয় করে, তখন থেকেই মার্কিন মুদ্রার নেট ক্রেতা হয়ে যায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Indian Rupee, Share Market