#মুম্বই: একটা সময়ে গাড়ি বিলাসিতার জিনিসই ছিল বটে! কিন্তু অনেক দিন হল সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে পুরোপুরি ভাবেই। ঠিক যে ভাবে সঙ্গে এখন ফোন রাখা সময়ের দাবি, সে রকম ভাবেই গাড়ি থাকাটাও দরকার। বিশেষ করে এই করোনাকালে তো বটেই! কেন না, গণপরিবহণ ব্যবহার করার অর্থই হচ্ছে সংক্রমণের দিকে এক পা বাড়িয়ে দেওয়া!
তবে দরকার যতই হোক না কেন, দেশের অধিকাংশ মানুষই দামের জন্য গাড়ি কিনে উঠতে পারেন না! এর সঙ্গে আবার চলতি বছরের অনেকটা সময় জুড়ে চলা লকডাউনের কথাটাও মাথায় না রাখলে নয়। সব মিলিয়ে, চার-চাকা ইন্ডাস্ট্র্রির মোটামুটি মন্দ দশাই চলেছে ২০২০ সালে। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কী ভাবে ক্রেতাকে আকর্ষণ করতে চাইছে দেশের নানা গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থা?
১. ডিজাইনে বদল
২. ফিনান্সের সুবিধেমডেল না হয় পছন্দ হল! কিন্তু টাকা? এ ক্ষেত্রেও গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো ক্রেতা ফিরিয়ে দিতে রাজি নয়। এ জন্য আজকাল অনেক সংস্থাই গাঁটছড়া বাঁধছে কোনও না কোনও ফিনান্স সংস্থার সঙ্গে। সেই সংস্থা টাকা ধার দিচ্ছে ক্রেতাদের হরেক আকর্ষণীয় স্কিমে। সঙ্গে থাকছে ক্যাশব্যাক, কখনও বা নো কস্ট EMI অপশনও।
৩. ভার্চুয়াল শো-রুমকরোনাকালে আজকাল ক্রেতাকে আকর্ষণ করতে অনেক গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থাই অগমেন্টেড রিয়্যালিটির মাধ্যমে তৈরি করছেন ভার্চুয়াল শো-রুম। সেখানে সব দিক দেখে-শুনে গাড়ি কিনতে পারছেন ক্রেতা। থাকছে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং তাঁদের সঙ্গে কথোপকথনের বন্দোবস্তও।
৪. তুখোড় বিজ্ঞাপনএটাই যে আপাতত দেশের ক্রেতাকে গাড়ি কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে, তা নয়! তবে যে কোনও পণ্যের কেনাকাটায় বিজ্ঞাপনী প্রচারের গুরুত্ব আধুনিক সময়ে অস্বীকার করা যায় না। গাড়িপ্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোও করছে না। পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে তৈরি নানা ক্যাপশনও কোনও এক বিশেষ ব্র্যান্ডের প্রতি ক্রেতাকে আকৃষ্ট করছে। যেমন লকডাউনের সময়ে পার্কড কার ক্যান রান ফ্যামিলিজ ক্যাম্পেন! যা বলে দিয়েছিল যে এই সময়ে গাড়ি বের না করলে যে জ্বালানির পয়সাটা বাঁচবে, তা দিয়ে মাইনে মেটানো যাবে বাড়ির কর্মচারীদের!
সব মিলিয়ে কাজ যে একেবারে হয়নি, এমনটা কিন্তু নয়। নানা সমীক্ষা বলছে যে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের পর এ দেশে গাড়ির বিক্রি বেড়েছে। মন্দ কী!