কলকাতা: বিনিয়োগে টাকা যে বাড়ে, সে বড় খাঁটি কথা! তবে কি না এই বাড়বৃদ্ধি যেন শিশুর বড় হয়ে ওঠার মতো, সময় লাগে অনেকটা, সবুরে মেওয়া ফলে এই কথা ভেবে ভেবে আশায় দিন কাটাতে হয়। আর এর মাঝে যদি জরুরি কোনও পরিস্থিতি দোরে কড়া নাড়ে?
আর কী, হয়ে গেল! বিনিয়োগের বারোটার ঘন্টা বাজবে, টাকা তুলে নিতে হবে, যে রিটার্ন আশা করে টাকা খাটানো হচ্ছিল, তার ধারে-কাছেও অঙ্কটা হয় তো পৌঁছবে না। কেন না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ১০, ১৫ বা ২০ বছর। ফিক্সড ডিপোজিটে এই দীর্ঘ বিনিয়োগের কড়াকড়ি থাকে না ঠিকই, তবে তাতে টাকাও আহামরি কিছু বাড়ে না।
অনেকে এক্ষেত্রে তুলতে পারেন ৫ বছরের লক ইন পিরিয়ডের কথা। মন্দ নয়; তবে যদি মিউচুয়াল ফান্ডে ৩ বছরের মেয়াদেই ভাল রকম রিটার্ন পাওয়া যায়, তখন বাড়তি ২ বছর অপেক্ষা কেন! কীভাবে ৩টে মোটে বছর কাজে লাগিয়ে টাকা জমানো যায়, তারই হদিশ জেনে নেওয়া যাক এক ঝলকে।
বিশেষজ্ঞরা ৩ বছরের আওতায় টাকা খাটাতে চাইলে সব সময়েই ডেবট স্কিমের কথা বলে থাকেন। কেন ন না, এখানে ৩ বছরের মেয়াদে বিনিয়োগ করলে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়। ৩ বছরের আওতায় ডেবট স্কিমে ২০ শতাংশ লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইনের পাশাপাশি পাওয়া যায় ইনডেক্সশনের সুবিধা, যা আয়ের ওপরে ধার্য হওয়া করের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনে, ফলে হাতে আসে বেশি টাকা।
আরও পড়ুন: সামনেই বাজেট! আয়কর নিয়ে জনসাধারণের কী কী প্রত্যাশা রয়েছে? জানুন বিশদে!কনজারভেটিভ হাইব্রিড স্কিমএই স্কিমে টাকার বেশিরভাগটাই খাটে ডেবটে, খুব সামান্য অংশ ইক্যুইটি বা শেয়ারে। SEBI নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে এক্ষেত্রে মোট অঙ্কের ৭৫ থেকে ৯০ শতাংশ যায় ডেবটে, বাকি ২৫ থেকে ১০ শতাংশ হিসেবমাফিক ইক্যুইটিতে। ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ স্বাভাবিক ভাবেই বেশি রিটার্নের হার নিশ্চিত করে।
কর্পোরেট বন্ড ফান্ডবাজারের সব চেয়ে মূল্যবান জায়গায় এই বন্ডে টাকা খাটে। SEBI নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে কর্পোরেট বন্ড ফান্ডের ৮০ শতাংশই বিনিয়োগ হয় হাই গ্যারান্টিড পেপারে। সংস্থার সুনাম বছরের পর বছর অক্ষুণ্ণ থাকায় লোকসানের কোনও আশঙ্কাও থাকে না।
ব্যাঙ্ক এবং পিএসইউ ফান্ডনাম থেকেই স্পষ্ট- টাকা এখানে কোন খাতে খাটানো হবে। SEBI নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে মোট অঙ্কের ৮০ শতাংশই ব্যাঙ্ক এবং সরকার অধিগৃহীত নানা সংস্থায় খাটে। নিরাপদ সঞ্চয়ের জন্য এটি অন্যতম সেরা বিকল্প।
ডায়নামিক বন্ড ফান্ডএই ফান্ডে রাশ অনেকটাই থাকে বিনিয়োগকারীর হাতে, তিনি তাঁর মর্জি এবং সুদের হার মতো ম্যাচিউরিটি নানা খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন। ইতিপূর্বে ভাল রিটার্ন দিয়ে এসেছে, এমন কোনও খাত বেছে নিয়েও টাকা খাটানোর স্বাধীনতা থাকে বিনিয়োগকারীর।
তবে সব শেষে যা না বললেই নয়- বিনিয়োগের বাজার সব সময়েই ঝুঁকিপূর্ণ, তাই পদক্ষেপের আগে অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।