বসিরহাট: ব্যাকটেরিয়া বিক্রি করে লাখপতি সুন্দরবনবাসী। ব্যাকটেরিয়া বিক্রি! তাও আবার লাখপতি! শুনতে অনেকটা অবাক লাগলেও আসলে এটাই সত্যি।শিরিষ গাছের ব্যাকটেরিয়া তো নয়, যেন টাকা কামানোর মেশিন। শিরিষ গাছে সংক্রমিত ছত্রাক এখন উপার্জনের মাধ্যম।
গাছের সংক্রমিত ছত্রাক যা এলাকায় পরিচিত ব্যাকটেরিয়া নামে। বসিরহাট মহাকুমার সুন্দরবন অঞ্চলের মিনাখাঁ, সন্দেশখালির আশপাশের এলাকার একদল মানুষ প্রতিদিন কাক ভোরে উঠেই বেরিয়ে পড়ছে শিরিষ গাছ থেকে কথিত ব্যাকটেরিয়া সন্ধানে। তবে শুধুমাত্র শিরিষ গাছেই নয় বাবলা, কুল, অর্জুন গাছে এই ছত্রাকের দেখা মেলে। যা আঠালো ভাবে রূপান্তরিত হয়ে সাধারণত রঞ্জন বা রেসিন নামে বহুল পরিচিত।
ছত্রাক আক্রমণে গাছের ডালে টকটকে লাল একটি আবরণ এবং আবরণের উপরী অংশে সাদা দুধের মত তুলা জাতীয় একটি প্রলেপ পড়তে দেখা যায়। সংশ্লিষ্টরা শ্রমিক দিয়ে যত্নসহকারে গাছ থেকে আহরণ করছে এইছত্রাক আক্রান্ত ডাল।
আরও পড়ুন: ফুরিয়ে আসছে সময়সীমা, আজই সেরে ফেলুন এই কাজগুলিএরপর সাইকেল, মোটর সাইকেল কিংবা পিকআপ ভ্যানে বাসা-বাড়ি, আড়ৎ কিংবা নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে বাড়ির বধু, কিশোর কিশোরীরা ডাল থেকে ছাড়িয়ে নিচ্ছে ছত্রাকও তার উচ্ছিষ্ট। যা নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক স্থানে পাঠানোর জন্য উপযোগী করেই বস্তাভর্তি করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে প্রতি কেজি পোকা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০-১২ কেজি ছত্রাক সংগ্রহ করেন ব্যবসায়ীরা। আর এভাবেই জীবন জীবিকা লাভের দিশা দেখছেন সুন্দরবনের মানুষ।
তবে এগুলো সংগ্রহ করে কি কাজে ব্যবহার করা হয়! এমন প্রশ্নের জবাবে, ব্যবসায়ী জানান, সংগৃহীত ছত্রাক মিনাখাঁর দেউলি এলাকায় তারা বিক্রি করেন। তবে আসলে ঠিক কোথায় যায় আর কী কাজে এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে তা তাদের জানা নেই। তবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে তারা জেনেছেন, গাছের এসব দিয়ে এক ধরনের আঠা ও আসবাবপত্রের রং তৈরি হচ্ছে।
জুলফিকার মোল্যা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।