কলকাতা: কম ঝুঁকিতে বিনিয়োগ করতে চাইলে বেছে নেওয়া যেতেই পারে কিষান বিকাশ পত্র (কেভিপি) বা ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট (এনএসসি)। এই ধরনের প্রকল্পগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় থাকে। ফলে ঝুঁকি যেমন কম, তেমন নিশ্চিত রিটার্নের সম্ভাবনাও বেশি। সঙ্গে অপেক্ষাকৃত অধিক সুদের হারও পাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু কেভিপি না, এনএসসি কোন প্রকল্পটি অধিক লাভদায়ক, তা ভেবে দেখতে হবে।
এনএসসি:
এনএসসি বা ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট একটি ‘ফিক্সড ইনকাম ইনভেস্টমেন্ট স্কিম’। যে কোনও ব্যক্তি পোস্ট অফিসে গিয়ে এই প্রকল্পের অধীনে সঞ্চয় শুরু করতে পারেন। মধ্য আয়ের মানুষের জন্য এই প্রকল্প খুবই লাভজনক। একই সঙ্গে এতে বিনিয়োগ করলে আয়কর ছাড় পাওয়াও যেতে পারে।
কোনও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি এই প্রকল্প নিজের নামে রাখতে পারেন। আবার চাইলে তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে যুগ্মভাবেও রাখতে পারেন। পাঁচ বছরের মেয়াদে এই প্রকল্প ম্যাচিওর করতে পারে।
আরও পড়ুন: কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ, এক দফাতেই ভোট, তিন দিন পরে ফলাফল
আরও পড়ুন: রাজভবনে এবার জনসাধারণের প্রবেশের অনুমতি, মমতার হাতে চাবি তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি
এনএসসি ক্রয়ের কোনও উর্ধ্বসীমা নেই। তবে মনে রাখতে হবে শুধুমাত্র ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগেই কোনও নাগরিক আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় ছাড় পেতে পারেন। এনএসসি-তে একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ দেওয়া হয়। এই সুদের হার নিয়মিত পর্যালোচনা করে কেন্দ্র।
কেভিপি:
ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের অধীনে ১৯৮৮ সালে কেভিপি বা কিষান বিকাশ পত্র চালু করা হয় পোস্ট অফিসের তরফে। প্রাথমিক ভাবে এর লক্ষ্য ছিল নাগরিকদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা। মূলত কৃষক শ্রেণির মানুষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় প্রকল্প হিসেব আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু পরবর্তীকালে তা যে কোনও নাগরিকের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
ন্যূনতম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হয় এই প্রকল্পে। তবে এর কোনও উর্ধ্বসীমা নেই। ১২৪ মাস পরে একটি মোটা টাকা পাওয়া যেতে পারে এই প্রকল্প থেকে।
কোনটি বেশি লাভজনক:
দু’টি প্রকল্পই নিরাপদ এবং নির্ধারিত আয় নিশ্চিত করতে পারে। সুদের হারও প্রায় দুই ক্ষেত্রেই সমান।
তবে বেছে নেওয়ার সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে সুবিধা হতে পারে—
এনএসসি-র ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের অধিক সময়ের জন্য বিনিয়োগ করা যায় না। আয়কর ছাড় মিলবে। তবে পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা অর্থ কোনও ভাবেই তোলা যাবে না।
অন্য দিকে, কেভিপি-র ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী ৬ মাস থেকে ২ বছরের জন্য অর্থ প্রদান করতে পারেন। এতে ঝুঁকির পরিমাণ খুবই কম। আবার নিশ্চিত রিটার্নের সম্ভাবনা বেশি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment