#নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন হয়েছে একাধিক জিনিসে। পরিবর্তন এসেছে একাধিক ক্ষেত্রে। সেই পথ ধরেই আসন্ন বাজেট সাজছে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। ব্যবসায়ীরা যেমন একাধিক বিষয় নিয়ে আশাবাদী, তেমনই চাকরিজীবীরাও। তাঁরা কী ভাবছেন এই বাজেট নিয়েই তার উপরেই সম্প্রতি একটি সমীক্ষা করা হয়। যার তথ্য বলছে, ৭০ শতাংশ মানুষই চাইছেন স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বা ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানো হোক।
KPMG-র সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ চাকরিজীবী মানুষই চাইছেন, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন লিমিট বাড়ানো হোক। বর্তমানে যা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তা বাড়ালে অনেকটাই সুবিধা হতে পারে।
সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, যেহেতু বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন মহল দাবি করছে, আসন্ন বাজেটে ব্যয়ের খাতে বরাদ্দ পরিমাণ বাড়াতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তাই রাজস্ব আদায়ের ফলেই অর্থনৈতিক মন্দা কাটানো সম্ভব। এবার করে ছাড় মিললে বা অব্যাহতি দিলে কর প্রদানের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
করোনার জেরে বেড়েছে সরকারের খরচ। সেই অতিরিক্ত খরচ তুলতে আসন্ন বাজেটে কোভিড-১৯ সেস বসানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা যাচ্ছে, এই বিষয়ে আলোচনা চলছে অর্থমন্ত্রকে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বৈঠকও হয়ে গিয়েছে একবার। তবে, এই বর্ধিত কর সেস হিসেবেই নেওয়া হবে কি না সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু করপ্রদানকারী বেশিরভাগ মানুষই চাইছেন এমন কোনও অতিরিক্ত কর তাঁদের উপরে চাপিয়ে না দেওয়া হোক। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে খুব অল্প সংখ্যক মানুষই এই সেস-এর বিষয়টিকে সমর্থন করছেন এবং গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।
KPMG-র করা এই সমীক্ষায় বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে প্রায় ২৫০ জন মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের প্রত্যেককেই প্রশ্ন করা হয়, সরকার কোন পদক্ষেপ করলে চাকরিজীবীদের সুবিধা হয়। তার উত্তরে ৭৪ শতাংশ মানুষই এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন। এবং অনেকে লিখেও দেন, ৫০ হাজার থেকে বাড়ালে ভালো।
সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৭ শতাংশ মানুষ চান চাকরিজীবীদের জন্য কর মকুব করে দেওয়া হোক। এবং একাংশ চান, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কথা মাথায় রেখে সরকারের বাজেট সাজানো উচিত। ৩৯ শতাংশ মানুষ চাইছেন, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচে ছাড়ের পরিমাণ বাড়ুক, বিশেষ করে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে।
৭৭ শতাংশ মানুষ চাইছেন স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হোক।