#নয়াদিল্লি: ভারতে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে জিনিসপত্রের দাম। নভেম্বর মাসে হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (Wholesale Price Index) ১২.৫৪ শতাংশ থেকে পৌঁছে গিয়েছে ১৪.২ শতাংশে। নিউজ এজেন্সি রয়টার্স এর রিপোর্ট অনুযায়ী হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স ১২ বছরে রেকর্ড স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। এর মধ্যে কোর হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স ১১.৯০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২.২০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এই হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স এখন ১০.৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ১১.৮০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। দেশে তেল এবং বিদ্যুতের দামও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে চলেছে। ভারতের হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বাড়তে বাড়তে একটি রেকর্ড সীমায় পৌঁছে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২২-এর বাজেটে কারা রয়েছেন অর্থমন্ত্রীর টিমে, দেখে নিন এক নজরে!
মাস অনুযায়ী জিনিসপত্রের দামের দিকে নজর দিলে লক্ষ্য করা যাবে যে, অক্টোবর মাসে যে খাদ্যদ্রব্য এবং পানীয়ের দাম ৩.০৬ শতাংশ হারে বেড়েছিল, সেটাই নভেম্বর মাসে বেড়েছে ৬.৭০ শতাংশ হারে। একই ভাবে, ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং প্রোডাক্টের হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স ১২.০৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১১.৯২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ১ বছরে ২২ টাকার শেয়ার হয়েছে ৩৫৪ টাকা; ১ লাখ টাকা হয়ে গিয়েছে ১৬ লাখ টাকার বেশি!
মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ
বাণিজ্য এবং উদ্যোগ মন্ত্রালয়ের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন যে ভারতের উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির প্রধান কারণ হল বিদ্যুৎ এবং কয়েকটি দ্রব্যের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলা। কারণ এদের দাম ২০২০ সালের নভেম্বরে যা ছিল তার থেকে প্রায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এদের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ হারে বেড়েছে। বাণিজ্য এবং উদ্যোগ মন্ত্রালয়ের সেই উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ভারতের প্রাথমিক বস্তুর এবং অন্যান্য উৎপাদনকারী দ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি ক্রমাগত হারে বেড়ে চলেছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলের বড় সিদ্ধান্ত, এই ট্রেনগুলিতে যাত্রায় পাওয়া যাবে অতিরিক্ত সুবিধা!
খুচরো দামের পরিমাণও বেড়েছে
২০২১ সালের নভেম্বর মাসে খুচরো প্রাইস ইনডেক্স ৪.৯১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে খুচরো প্রাইস ইনডেক্স ৪.৪৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। নভেম্বর মাসে খুচরো দ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর আসল কারণ হল ফল এবং সবজির দামের বৃদ্ধি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিপিআই আধারিত মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৪.৩৫ শতাংশ এবং অক্টোবর মাসে সিপিআই আধারিত মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৪.৪৮ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতি থেকে কবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছেন যে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ একই থাকতে পারে। মনে করা হচ্ছে চলতি আর্থিক বর্ষে ভারতে এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতি বজায় থাকলেও পরের আর্থিক বর্ষে মুদ্রাস্ফীতি আয়ত্তের মধ্যে আসতে পারে। সুতরাং পরের বছর থেকেই এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Inflation