#নয়াদিল্লি: মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবেই উচ্চ হারে সুদ পাওয়া যায়। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিকে হারিয়ে সম্পদ বৃদ্ধির সেরা উপায়ও এটাই। তাই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এখানে সেরকমই ৫ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হল, পোর্টফোলিও তৈরির আগে যেগুলি এড়িয়ে যাওয়া কোনও ভাবেই চলবে না।
১। মেয়াদ: কত বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হচ্ছে, মিউচুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেবি নিবন্ধিত কর বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি বলছেন, ‘কত বছরের জন্য কোথায় বিনিয়োগ করলে উচ্চ হারে সুদ পাওয়া যাবে বা মোটা অঙ্কের রিটার্ন মিলবে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। তাঁর ভিত্তিতেই ফান্ডের বিভাগ নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করতে চাইলে স্মল ক্যাপ ফান্ড আদর্শ। আবার মাঝারি মেয়াদে বিনিয়োগ করতে চাইলে মিক্সড ক্যাপ বা মিড ক্যাপ ফান্ড বাছতে হবে’।
২। ব্যয় অনুপাত: মিউচুয়াল ফান্ড বিভাগ নির্বাচনের পর ফান্ড পরিকল্পনা বাছতে হবে। বিনিয়োগকারীকে জানতে হবে, ফান্ড হাউস তাঁর পোর্টফোলিও পরিচালনার জন্য একজন বিনিয়োগকারীকে চার্জ করে, এই চার্জকে বলা হয় ব্যয় অনুপাত। সেবি নিবন্ধিত কর বিশেষজ্ঞ জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি বলছেন, ‘মিউচুয়াল ফান্ডের গড় ব্যয় অনুপাত ১ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়’। তাঁর মতে, ‘বিনিয়োগকারীর সেই ফান্ডগুলিতেই বিনিয়োগ করা উচিত যেগুলির ব্যয়ের অনুপাত ২ শতাংশের বেশি’।
আরও পড়ুন - মোদি সরকারের কর্মীদের জন্য বড় খবর! DA সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের বিশাল ঘোষণা!
৩। ন্যাভ: মিউচুয়াল ফান্ড নির্ধারনের সময় বিনিয়োগকারীকে নেট অ্যাসেট ভ্যালু বা ন্যাভ দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ন্যাভ কম হলে সাধারণত রিটার্ন বেশি হয়। তবে ন্যাভ দেখার পাশাপাশি সেই ফান্ডের ইতিহাস(আগে কেমন রিটার্ন দিয়েছে) এবং ফান্ড ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনার দিকেও নজর দিতে হবে।
৪। শার্প রেশিও: অপটিমা মানি ম্যানেজার্সের এমডি এবং সিইও পঙ্কজ মথপাল বলছেন, ‘মিউচুয়াল ফান্ডের ঝুঁকি এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ রিটার্ন গণনা করতে শার্প রেশিও ব্যবহার করা হয়। মূলত এটা একজন বিনিয়োগকারীকে জানিয়ে দেয়, একটা হোল্ডিংয়ে কত অতিরিক্ত রিটার্ন মিলবে। বিনিয়োগকারীর সুবিধা হয় যদি তাঁকে মিউচুয়াল ফান্ড প্ল্যানের যে কোনও একটি বেছে নিতে হয় যা গত কয়েক বছরে বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রায় একই রকম রিটার্ন দিয়েছে’।
আরও পড়ুন - Modi সরকারের বড় Scheme! ঘরে সন্তানের জন্মতে সরকারি প্রকল্পে টাকা পান
৫। ট্রেনর অনুপাত: জিতেন্দ্র সোলাঙ্কি বলছেন, ‘কোনও মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে কতটা ঝুকিপূর্ণ এবং তাতে বিনিয়োগ করে কতটা লাভ পাওয়া যাবে, সেটা বোঝায় ট্রেনর অনুপাত। যেহেতু মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ বাজারের ঝুঁকির সাপেক্ষে তাই প্ল্যানের তুলনা করার সময় অবশ্যই ট্রেনর অনুপাত দেখে নেওয়া উচিত। এককালীন বা এসআইপি, উভয় বিনিয়োগের জন্যই এটা জরুরি’।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment, Mutual Fund