#কলকাতা: এই দেশের বাসিন্দাদের পছন্দের গাড়ির তালিকায় অনেকগুলো বছর ধরে সবার উপরে রয়ে গিয়েছে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র নাম। ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে বিশ্বাসের সেই বন্ধনকে অটুট করে তুলেছে সংস্থার অনর্গল প্রয়াস। সেটা এক দিক থেকে যেমন স্বাভাবিক, অন্য দিক থেকে তেমনই আবার প্রত্যাশিতও বটে! এই জায়গাটা তৈরি না হলে কোনও সংস্থাই বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে উন্নতির মুখ দেখতে পারে না।
কিন্তু এই প্রসঙ্গেই একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের কথাও উঠে আসে সঙ্গত কারণেই। যদি কর্মীরা তাঁদের সংস্থা থেকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না পান, তা হলে তাঁরা তাঁদের সেরাটুকুও সংস্থাকে দিতে পারবেন না। মারুতি সুজুকি সেই দিক থেকেও দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। বর্তমান সময়ে এই দেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল উপযুক্ত বাসস্থান খুঁজে পাওয়া। সাধ থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সাধ্যে এসে ঠেকে যেতে হয়, অনেকেই নিজের মনের মতো বাড়ি তৈরি করতে বা কিনে উঠতে পারেন না। কিন্তু কর্মীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটি মাথায় রেখে সেই অসুবিধাও দূর করেছে সংস্থা। নিয়ে এসেছে মারুতি সুজুকি এনক্লেভ যা বিশেষ ভাবে কর্মীদের জন্যই বরাদ্দ!
খবর বলছে যে ১৯৮৯ সালে গুরুগ্রামের চক্করপুরে প্রথম এ ধরনের অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করে সংস্থা। ১৯৯৪ সালে ওই গুরুগ্রামেরই ভোন্দসিতে সংস্থার আরেকটি অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে ওঠে। তার পর এ বার ২০২০ সালে, ঠিক বড়দিনের প্রাক্কালে দারুহেরায় কর্মীদের জন্য খুলে গেল একেবারে নতুন মারুতি সুজুকি এনক্লেভের দরজা। জানা গিয়েছে যে এর মধ্যেই বেশ কিছু কর্মচারীর হাতে ফ্ল্যাটের চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অন্তর্গত ৩৬০টি ফ্ল্যাটের নির্মাণ এখনও বাকি আছে, যথাসময়ে কর্মীদের বসবাসের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেগুলোও।
জানা গিয়েছে যে এই নতুন মারুতি সুজুকি এনক্লেভ সেজে উঠেছে মনোরম বাগান, এলইডি পথ-আলো, জলাধারের সমন্বয়ে। করোনাকালে যাতে অনেকটা ফাঁকা জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে থাকতে পারেন কর্মীরা, জীবনের দৈনন্দিনতায় পেতে পারেন সবুজের স্পর্শ, সেই সব দিকে নজর দিয়ে এই আধুনিক ডিজাইনের ফ্ল্যাটগুলি তৈরি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর কেনিচি আয়ুকায়া ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে।বলেছেন যে তাঁদের সাহায্য ছাড়া তাড়াতাড়ি এই কাজ সম্পূর্ণ করা সম্ভব হত না। পাশাপাশি তাঁর বক্তব্য, কর্মীদের জন্য এটুকু স্বাচ্ছন্দ্যের ব্যবস্থা করতে পেরে গর্বিত বোধ করছে সংস্থা, ভবিষ্যতেও কর্মীস্বাচ্ছন্দ্যের দিকটি সংস্থায় উপেক্ষা করা হবে না!