#কলকাতা: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল বিখ্যাত হাইজিন ব্র্যান্ড Livinguard AG। এ বার এই সংস্থার মাস্ক ও গ্লাভস প্রডাক্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দেখা যাবে সৌরভকে। স্ট্রিট, প্রো ও আল্ট্রা- মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই ফেস মাস্ক। যা ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে। সংস্থার দাবি, প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে মাস্কটি। এ বার দাদার হাত ধরেই ভারতের বাজারে আত্মপ্রকাশ ঘটছে Livinguard AG-এর প্রডাক্টের।
সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, Livinguard AG-র সঙ্গে নতুন ইনিংস শুরু করতে পেরে তিনি খুশি। তাঁর কথায়, এই অতিমারীর সময়ে এমনকী, এর পরেও ফেস মাস্ক ও গ্লাভস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাজারে যে মাস্ক ও গ্লাভস পাওয়া যায়, সেগুলি একবারই ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু Livinguard-এর ফেস মাস্ক একটু আলাদা। এটি মানুষজনের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। এগুলি প্রিভেনটিভ ও প্রোটেক্টিভ। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে এই মাস্ক। কমাতে পারে করোনার সংক্রমণ।
প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে এই ফেস মাস্ক। এটি রি-ইউজেবল। অর্থাৎ প্রায় ২১০টি সিঙ্গল ইউজ মাস্কের সমান একটি Livinguard-এর ফেস মাস্ক। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কথায়, নিউ নর্মালে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য, ফেলে দেওয়া মাস্কগুলির পরিবেশের উপরে প্রভাব, এই সমস্ত বিষয় নিয়েও ভাবতে হবে। আর এ দিক থেকে অনেকটাই নিরাপদ Livinguard-এর এই ফেস মাস্ক।
এই বিষয়ে Livinguard AG-এর ফাউন্ডার ও CEO সঞ্জীব স্বামী জানিয়েছেন, যদি ডিজইনফেক্ট বা জীবাণুনাশকতার প্রসঙ্গ আসে, তা হলে Livinguard-এর মতো এত ভালো মাস্ক আর কোনও সংস্থা তৈরি করেছে বলে মনে হয় না। বাজারচলতি যে মাস্কগুলি রয়েছে তাতে অ্যামোনিয়াম, বেঞ্জালকোনিয়াম, ক্লোরাইড ও সিলভার এই চারটি টক্সিক উপাদান থাকে। এগুলির জেরে শরীরে ক্ষতি হতে পারে। আর ঠিক এখানেই প্রতিটি সূক্ষ্ম বিষয় ও সর্বোপরি মানুষজনের সুস্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।তাঁর কথায়, Livinguard-এর মাস্কে যে ডিজইনফেক্টিং উপাদানগুলি রয়েছে, তাতে বিশ্বের একাধিক বৃহৎ সংস্থা সিলমোহর দিয়েছে। মাস্কের অ্যান্টিভাইরাল প্রপার্টির ব্যবহারের বিষয়ে সিলমোহর দিয়েছে ইউনিভার্সিটি অফ আরিজোনার এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট। সেখানকার গবেষকরা জানিয়েছেন, ৯৯ শতাংশ পর্যন্ত SARS-CoV-2-এর জীবাণু মারতে পারে এই মাস্ক। সংস্থার পক্ষ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও স্বাগত জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডে রয়েছে Livinguard AG-এর হেড কোয়ার্টার। ভারত, জার্মানি, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, জাপান ও দক্ষিণ আফ্রিকার নানা স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে এই সংস্থার ব্যবসা।