#বেঙ্গালুরু: Amazon, Flipkart-এর মতো সুপ্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কমপিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া (Competition Commission of India), সংক্ষেপে CCI-এর মামলা শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই! এবার সেই মামলায় রায় গেল এই দুই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে। সাফ জানিয়ে দিল কর্ণাটক হাই কোর্ট যে কমপিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া Amazon এবং Flipkart-এর অসাধু বাণিজ্যনীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করতে পারে। শুক্রবার এই রায় দিয়েছে বিচারক পি এস দীনেশ কুমারের (PS Dinesh Kumar) বেঞ্চ!
মামলার শুরু হয়েছিল ১৮ মাস আগে ‘দিল্লি ব্যাপার মহাসঙ্ঘ’ (Delhi Vyapar Mahasangh), সংক্ষেপে DVM-এর একটি আবেদন থেকে। এই সংগঠন রাজধানীর ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করে। মূলত সেই লক্ষ্যেই কমপিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি আবেদন দাখিল করা হয়। এই আবেদনের মূল বক্তব্য ছিল যে ব্যবসার ক্ষেত্রে Amazon এবং Flipkart-এর মতো বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের আইন মেনে চলার প্রয়োজন বোধ করছে না। ভারতের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তারা অসাধু বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার মহল সৃষ্টি করেছে।
দিল্লি ব্যাপার মহাসঙ্ঘ এই ব্যাপারে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে জানিয়েছিল যে দেশের বাণিজ্যিক নীতি অনুসারে কোনও পণ্য শুধুমাত্র ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রয় করা যায় না। কিন্তু ইলেকট্রিক পণ্য, বিশেষ করে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে এই আইন হামেশাই লঙ্ঘণ করে চলেছে Amazon এবং Flipkart। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে তারা বেশ কিছু পণ্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে এতটাই কমিয়ে দিচ্ছে যে সেই প্রতিযোগিতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলা দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। Amazon এবং Flipkart-এর এই নীতি যে আদতে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের উৎখাত করে দেশীয় বাজার দখলের পদক্ষেপ, সে কথা জোর গলায় বলতে দ্বিধা করেনি দিল্লি ব্যাপার মহাসঙ্ঘ। সেই দিক থেকে ভারতীয় সংবিধানের কমপিটিশন অ্যাক্টের (Competition Act) ৩ এবং ৪ নম্বর ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়।
Amazon এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে কর্ণাটক হাই কোর্টে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটি মামলা দায়ের করে। সে বারের মতো কর্ণাটক হাই কোর্ট কমপিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়াকে তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠতে থাকে। একই মর্মে ED তদন্তের দাবি তুলেছিল কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (Confederation of All India Traders), সংক্ষেপে CAIT। এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপের অনুরোধ করে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে চিঠিও পাঠিয়েছিল সংগঠন।
আপাতত কর্নাটক হাই কোর্ট Flipkart-এর সিনিয়র কাউন্সেলের ইন্টারিম অর্ডার দুই সপ্তাহ বর্ধিত করার আবেদনও নাকচ করে দিয়েছে। এই রকম পরিস্থিতিতে Amazon এবং Flipkart-এর কাছে কেবল একটিই পথ রয়েছে- এবার তারা বিষয়টি নিয়ে হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারকের বেঞ্চে মামলা দায়ের করতে পারে। তবে বর্তমানে Amazon কেবল এটুকুই জানিয়েছে যে তারা কর্ণাটক হাই কোর্টের রায় শিরোধার্য করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং তার পর পদক্ষেপ করবে!
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।