কলকাতা: বিনিয়োগ না করলে সম্পদ বাড়বে না। একথা মোটামুটি সবাই জানে। কিন্তু নিরাপত্তার জন্যে যে বিনিয়োগ করা হয় তা দিয়ে কিন্তু সম্পদ গড়ে তোলা যায় না। এটা না বুঝলে ভবিষ্যতে মূল্য চোকাতে হবে।
অতনুর ৩৪ বছর বয়স। গত ১০ বছর ধরে তিনি বিনিয়োগ করছেন। চাকরিতে ঢোকার পরেই অতনুর পিতামাতা তাঁকে বিনিয়োগ শুরু করার পরামর্শ দেন। তাঁদের কথা মতোই তিনি ইনভেস্টমেন্ট-লিঙ্কড ইনস্যুরেন্স প্ল্যানে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু বাড়ির ডাউন পেমেন্টের জন্যে উভয় বিনিয়োগ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতেই ধাক্কা খান অতনু। পলিসি থেকে তিনি যে পরিমাণ টাকা ফেরত পান তা বিনিয়োগের মাত্র ৭০ শতাংশ এবং সোনায় ১০ শতাংশ ছাড়।
আরও পড়ুন: বাতিল ২০০০ টাকার নোট ! ‘ভুল করেও এমন করবেন না’
সোনা সবসময় চকচক করে না: এদেশে সোনায় বিনিয়োগের অভ্যাস বহু প্রাচীন এবং জনপ্রিয়। সোনার দাম ক্রমশ বাড়ছে। ফলে এতে বিনিয়োগ লাভজনক। কিন্তু সোনার গয়না ক্রয়, বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত খরচ অনেকেই ধর্তব্যের মধ্যে আনেন না। সোনার গয়না কেনার সময়েই ৩০ শতাংশ টাকা জলে যায়। কারণ মেকিং চার্জ। বিক্রির সময় এটা পাওয়া যায় না। সোনার অলঙ্কার কেনার সময় খরচ হয় ৪০ শতাংশ। হিরের জন্যে আরও খারাপ। ফলে এগুলোর পুনর্বিক্রয় মূল্য লাভজনক নয়।
বিমা কোনও বিনিয়োগ নয়: নিশ্চিত রিটার্নের মানসিকতা থেকে বাজার-সংযুক্ত রিটার্নে যাওয়ার সময় এসেছে। সোনা এবং বিমা পলিসি থেকে আয় আসলে বাজারের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এজেন্টরা যেভাবে বিক্রি করেন মনে হয়, এটা নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম। তা মোটেই নয়। মাথায় রাখতে হবে, বিমা কোনও বিনিয়োগ নয়। ইনভেস্টমেন্ট লিঙ্কড ইনস্যুরেন্স থেকে বছরে ৪ থেকে ৫ শতাংশ রিটার্ন মেলে। ফলে মুদ্রাস্ফীতিকে হারানোর ক্ষমতা এদের নেই। আর মেয়াদ শেষের আগে পলিসি থেকে বেরিয়ে গেলে যে টাকা ফেরত পাওয়া যায় সেটা নগণ্য।
ভাল বিকল্প: এখন প্রশ্ন হল, বিকল্প কী আছে? বিশেষজ্ঞরা ব্যালেন্সড অ্যাডভান্টেজ ফান্ডে বিনিয়োগের পরামর্শ দিচ্ছেন। এই ফান্ড স্টক এবং বন্ডে বিনিয়োগ করে। এই ফান্ডের খরচ বিমা স্কিমগুলোর তুলনায় অনেক কম। ফলে বিনিয়োগকারীরা মোটা টাকা রিটার্নও পান।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।