#নয়াদিল্লি: ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী যে কোনও ভারতীয় এবং অনাবাসী ভারতীয় ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এ জন্য আর সশরীরে পোস্ট অফিসে যেতেও হবে না। ২০২২-এর ২৬ এপ্রিল থেকে অনলাইনেই এই পরিষেবা চালু করেছে ভারতীয় ডাক বিভাগ।
নগদ, চেক, ডিমান্ড ড্রাফট বা ইলেকট্রনিক ক্লিয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া যাবে। তবে পোস্ট অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ’৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেনের জন্য গ্রাহককে অ্যান্টি মানি-লন্ডারিং নিয়ম অনুযায়ী প্যান কার্ডের কপি জমা দিতে হবে। এছাড়া বাইরের কোনও চেক গ্রহণ করা হবে না’।
একজন গ্রাহক এনপিএস-এ অ্যাকাউন্ট খুললে তিনি সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা এসআইপি-র মাধ্যমে টাকা জমা করতে পারবেন। এনএসডিএল অনুযায়ী, এসআইপি-র মাধ্যমে এনপিএসে বিনিয়োগের সুবিধাগুলি নিম্নরূপ-
১। এসআইপি-র মাধ্যমে অল্প টাকা বিনিয়োগ করা যায়। বিশেষ করে যারা মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য এসআইপি আদর্শ।
২। বিনিয়োগের মাধ্যমে লক্ষ্যপূরণে সাহায্য করে এসআইপি। কারণ এককালীন অর্থ প্রদান করতে হয় না।
৩। এসআইপি-তে যেহেতু ঘনঘন বিনিয়োগ করা হয় তাই ‘পাওয়ার অফ কমপাউন্ডিং’য়ের সুবিধা এতেই সবচেয়ে ভালো পাওয়া যায়।
এসআইপি শুরুর আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখতে হবে-
১। একটি সক্রিয় এনপিএস অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন।
২। এনপিএস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ফোন নম্বর এবং ইমেল অ্যাড্রেস জুড়তে হবে।
৩। এনপিএস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নেট ব্যাঙ্কিং সুবিধা যোগ করতে হবে।
৪। পেটিএমের মাধ্যমে এসআইপি-তে টাকা জমা দিতে হবে।
৫। এসআইপি-র মাধ্যমে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা জমা করা যায়।
৬। এককালীন এসআইপি সেট আপের জন্য ৩.৫০ টাকা (সঙ্গে ট্যাক্স) কাটা হবে।
এসআইপি-তে রেজিস্ট্রেশন করতে হলে-
১। গ্রাহককে প্রথমে পিআরএএন নম্বর এবং ডিওবি দিতে হবে। তারপর মোবাইল এবং ইমেলের মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নিয়ে ‘সাবমিট ওটিপি’তে ক্লিক করতে হবে।
২। গ্রাহকের কাছে একটা এককালীন পাসওয়ার্ড আসবে। সেখানে ৬ সংখ্যার ওটিপি দিয়ে ‘কন্টিনিউ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৩। এনপিএস-এ নতুন এসআইপি রেজিস্ট্রেশন বেছে নিয়ে সাবমিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৪। এরপর এসআইপি পরিমাণ, টায়ার টাইপ, এসআইপি তারিখ, মেয়াদপূর্তির মাস ও বছর এবং এসআইপি ফ্রিকোয়েন্সি লিখে জমা দিতে হবে।
৫। অনলাইন ই-ম্যান্ডেট প্রক্রিয়ার জন্য, গ্রাহককে অবশ্যই ব্যাঙ্ক ডেটা ইনপুট করতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই টাকা কেটে নেওয়া হবে।
৬। এরপর যাবতীয় তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রাহককে অনুরোধ করা হবে। গ্রাহক সবকিছু যাচাইয়ের পর ‘কন্টিনিউ’ বাটনে ক্লিক করবেন।
৭। এসআইপি রেজিস্ট্রেশন অনুমোদনের জন্য ব্যাঙ্কে পাঠানো হবে। ব্যাঙ্ক অনুমোদন দিলে এসআইপি পরিমাণ এবং এসআইপি ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে গ্রাহকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সেই টাকা কেটে নেওয়া হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment, Post office