#নয়াদিল্লি: কিছুটা হলেও আজ দেশের আগাম অর্থনৈতিক পরিস্থির একটা আঁচ পাওয়া যাবে। বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ, শুক্রবার, থেকেই। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন ঠিকই, কিন্তু গত বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষার খতিয়ান শুক্রবারই তুলে ধরা হবে। এই পরিস্থিতিতে দেশের শিল্পক্ষেত্রে কেমন রদবদলের আশা রয়েছে?
হেল্থকেয়ার অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যালইন্ডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল অ্যালায়েন্সের জেনেরাল সেক্রেটারি সুদর্শন জৈন এক্ষেত্রে করছাড় এবং সরকারি অনুদানের দিকে দৃষ্টি রেখেছেন। তাঁর মতে, একমাত্র তাহলেই করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে। সম্ভাবনা আছে, সরকার এক্ষেত্রে ব্যয় ২.৫ শতাংশ বাড়াতে পারে।
রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচারবিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন যে শহরাঞ্চলে অধিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রিয়েল এস্টেটে অ্যান্ড অনফ্রাস্ট্রাকচার সুদৃঢ় করতে হবে। তবে এটিও করছাড় ব্যতিরেকে সম্ভব নয়। না হলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে না।
অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিএক উচ্চপদস্থ অর্থমন্ত্রকের আধিকারিক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে সরকার আগামী বাজেটে বেশ কিছু অটো পার্টসে আমদানি শুল্ক বাড়াতে পারে। পাশাপাশি, অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে পণ্য উৎপাদনে ইনসেনটিভ বাড়ানোর কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। সেই দিকে চোখ রেখে টাটা কির্লোস্কারের আশা- হাইব্রিড ইলেকট্রিক ভেহিকেল এবং তার পার্টস উৎপাদনে সবরকম আর্থিক সাহায্য করবে সরকার।
আরও পড়ুন বাজেট ২০২১: অধিবেশন শুরু হচ্ছে ইকোনমিক সার্ভে পেশের মাধ্যমে, কী আশা করা যায় এর থেকে?
এভিয়েশনএয়ারপোর্ট চার্জ, পার্কিং, ল্যান্ডিং, নেভিগেশন-সহ অনেকগুলো দিক থেকে এই শিল্পকে বিপুল করের বোঝা বহন করতে হয়। সঙ্গে রয়েছে জ্বালানির খরচ। তাই এই ক্ষেত্রের আশা- বাজেটে জ্বালানির খরচ কমানোর পাশাপাশি করছাড়ে নজর দেওয়া হোক।
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটিস্বল্প কোলাটেরাল-সহ লিকিউডিটি ফ্লো এবং ছয় মাসে যৎসামান্য মনোটোরিয়াম- বাজেটে এটাই আশা করছে ন্যাশনাল রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া। ডোমেস্টিক ট্র্যাভেলে করছাড় যে পর্যটনে গতি আনবে, সে উল্লেখ করছে মেক মাই ট্রিপ।
রিটেলআইকিয়ান ইন্ডিয়ার তরফে প্রীত ধূপর একটি ন্যাশনাল রিটেল পলিসির আশা করছেন। যা দেশের ই-কমার্স সেক্টরের ব্যবসায়ী এবং রিটেল ব্যবসায়ীদের এক ছাদের তলায় নিয়ে এসে একই রকম সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে।
ব্যাঙ্কিংরাষ্ট্রায়ত্ত বেশ কিছু ব্যাঙ্কের আগামী বাজেটে বেসরকারিকরণের সম্ভাবনা রয়েছে। ICRA জানিয়েছে, পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলোয় ৪৩,০০০ কোটি টাকা মূলধন যোগানের প্রয়োজন রয়েছে।