#নয়াদিল্লি: ব্যবসা শুরু করতে চাইলেও অনেকের হাতেই বেশি পরিমাণ পুঁজি থাকে না। তাই সেক্ষেত্রে তাঁরা কম বিনিয়োগেই ব্যবসা শুরু করতে চান। তবে কম পরিমাণ অর্থ লগ্নি করে এমন কোনও ব্যবসা শুরু করা উচিত, যা দিনের শেষে বেশি পরিমাণে লাভ দিতে পারে। আর লাভজনক ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সবার আগে মাথায় রাখতে হবে চাহিদার কথা। আজ সেই রকমই এক ব্যবসার বিষয়েই আলোচনা করে নেব আমরা।
আরও পড়ুন: বাড়ির LPG গ্যাস কানেকশনের জন্য এবার দিতে হবে বেশি দাম, বাড়ল রেগুলেটারের দামওকম বিনিয়োগে ব্যবসা করে প্রচুর লাভ করতে চাইলে মোবাইল ও ল্যাপটপ সারানোর ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। আসলে আজকের ডিজিটাল যুগে ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন অপরিহার্য গ্যাজেট হয়ে উঠেছে। আর ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইন পরিষেবাগুলি গোটা দেশেই দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এক সময় শুধুমাত্র অফিসগুলিতেই ল্যাপটপের দেখা মিলত। কিন্তু এখন তা ঘরে-ঘরেই দেখা যায়। ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারের জেরে এর মেরামতি কেন্দ্রের চাহিদাও বাড়ছে।
ল্যাপটপ এবং মোবাইল সারানো আসলে হাতের কাজের দক্ষতা। তাই এই ব্যবসা শুরু করার আগে এই বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান থাকা জরুরি। আর তার জন্য সবার আগে ল্যাপটপ এবং মোবাইল রিপেয়ারিং-এর উপর একটি কোর্স করতে হবে। দেশের বহু প্রতিষ্ঠান থেকেই এই কোর্স করা যায়। এ ছাড়া অনলাইনেও ল্যাপটপ ও মোবাইল রিপেয়ারিং শেখার সুযোগ রয়েছে। তবে কোনও প্রতিষ্ঠান থেকেই এই বিষয়ে পড়াশোনা করা ভালো। এই বিষয়ে পড়াশোনা করে হাতে-কলমে কাজ শিখে নিয়ে কিছুদিন কোনও মোবাইল বা ল্যাপটপ মেরামতির কেন্দ্রে কাজ করে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করলে আরও ভালো!
আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী সোনা, রুপোর দাম রয়েছে ৬০,০০০ টাকার নীচে, জেনে নিন লেটেস্ট রেট...এভাবে শুরু করা যেতে পারে:
ল্যাপটপ ও মোবাইল সারাইয়ের কাজে দক্ষ হয়ে ওঠার পরেই নিজের দোকান বা রিপেয়ারিং সেন্টার খোলা উচিত। আর ল্যাপটপ মেরামত কেন্দ্র এমন জায়গায় খোলা উচিত, যেখানে গ্রাহক সহজেই পৌঁছাতে পারবেন। আর এটাও দেখে নিতে হবে যে, আশে-পাশে সেরকম কোনও রিপেয়ারিং সেন্টার যেন না-থাকে। ব্যবসা শুরু করার আগে এবং পরে মেরামত কেন্দ্রের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন ছড়িয়ে দিলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ মেরামত কেন্দ্রের কথা জানতে পারবে। আর তার ফলে গ্রাহকও বাড়তে থাকবে।
একটি ল্যাপটপ এবং মোবাইল রিপেয়ারিং সেন্টার খুলে প্রথমেই বেশি জিনিসপত্র রাখার দরকার নেই। আসলে যেহেতু এক্ষেত্রে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি সারাই করতে হবে, তাই শুধুমাত্র কিছু প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার রাখলেই হবে। মাদার বোর্ড, প্রসেসর, র্যাম, হার্ড ড্রাইভ এবং সাউন্ড কার্ডের মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও বেশি পরিমাণে রাখার প্রয়োজন হবে না, কারণ সেগুলি আজকাল সহজলভ্য।
আরও পড়ুন: লোকসানেই খুলল বাজার! জানুন কোন স্টকে বাজি ধরবেন!আয় এবং ব্যয়ের হিসেব:
কম্পিউটার সারাইয়ের কেন্দ্র ২ থেকে ৪ লক্ষ টাকাতেই শুরু করা যেতে পারে। আর প্রথমে স্বল্প সরঞ্জাম রেখেই কাজ চালানো যেতে পারে। আর একের পর এক কাজ আসতে শুরু করলে বিনিয়োগের পরিমাণও ধীরে ধীরে বাড়ানো যাবে। আর বিনিয়োগ বাড়লে পরবর্তীকালে মেরামতির পাশাপাশি ল্যাপটপ এবং মোবাইল বিক্রয়ও শুরু করা যেতে পারে।
আর আয়ের নিরিখে দেখতে গেলে, মোবাইল এবং ল্যাপটপ মেরামতের চার্জ সাধারণত অনেকটাই বেশি হয়। তাই এই ব্যবসা শুরু করলে ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যাবে। লাভের হিসেবের নিরিখে এই ব্যবসা থেকে দৈনিক কমপক্ষে এক হাজার টাকা তো সহজেই সাশ্রয় করা যায়। আর কাজ ভালো হলে তো কথাই নেই। কারণ তাতে ল্যাপটপ এবং মোবাইল সারাইয়ের কেন্দ্রের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে এবং তার সঙ্গে উপার্জনও ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।