#কলকাতা: ডেস্টিনেশন ২০২৫। আগামী ৫ থেকে ৬ বছরে বিদ্যুৎচালিত স্কুটার ও বাইক দু-চাকার গাড়ি বাজারের বড় অংশ দখল করবে ধরে নিয়েই তৈরি হচ্ছে বাইক নির্মাতা সংস্থাগুলো। আর এক্ষেত্রে সবার প্রথমে বাজার দখলে নামছে হিরো ইলেকট্রিক।
দেশের বৃহত্তম দু-চাকার গাড়ি নির্মাণ সংস্থার কৌশল, ২০২০ সালের মধ্যে সব ধরণের ক্রেতার জন্য পছন্দসই বিদ্যুৎ চালিত বাইক বাজারে আনা। এই লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে ও পূর্বাঞ্চলের বাজারে এল হিরো ইলেকট্রিকের নতুন বিদ্যুৎচালিত স্কুটার। ড্যাশ সিরিজের এই স্কুটারের পাশাপাশি অপটিমা ইআর ও এনওয়াইএক্স ইআর সিরিজের এই স্কুটারের হাত ধরেই বাজার দখলের লক্ষ্যে হিরো ইলেকট্রিক। হিরোর সবকটি অনুমোদিত ডিলারের কাছেই মিলবে বিদ্যুৎ চালিত স্কুটার।
সংস্থার দাবি, পেট্রোলের দাম ছাড়াও ভবিষ্যতেও আরও একটি কারণে বিদ্যুৎ চালিত দু-চাকার যানের দিকে ঝুঁকবেন ক্রেতারা। হিরো ইলেকট্রিকের সিইও সোহিন্দর সিংয়ের দাবি, বিদ্যুৎ চালিত বাইক রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অনেকটাই কম। পেট্রোল চালিত স্কুটারের তুলনায় বিদ্যুৎ চালিত বাইকে বছরে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব। হিরো ইলেকট্রিক ক্রেতাদের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়েছে দেখেছে, ২৫ শতাংশই ক্রেতাই পেট্রোল পাম্পে প্রতারণার মুখে পড়েন। সঠিক বিকল্প পেয়ে তাঁরা বিদ্যুৎ চালিত যানের দিকেই ঝুঁকবেন বলে আশা সংস্থার। দূষণমুক্ত যান হিসাবে ২০২৫ সালের মধ্যে বাজারের বড় অংশ দখল করবে বিদ্যুৎ চালিত স্কুটার। সেই সম্ভাবনা থেকেই কৌশল তৈরি করছে হিরো ইলেকট্রিক।
চার চাকার মতোই দু-চাকার গাড়িতে চার্জিং পয়েন্টের সমস্যা নিয়ে চিন্তিত সংস্থা। তবে সোহিন্দরের দাবি, আগামী ১ বছরে দেশের বড়-ছোট সব শহরেই প্রয়োজনীয় চার্জিং পয়েন্ট তৈরি হয়ে যাবে। এব্যাপারে পরিবহণ মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এগোচ্ছে সংস্থা। এই মুহুর্তে দেশে ৬১৫টি চার্জিং পয়েন্ট আছে। আগামী এক বছরে আরও ১০০০টি চার্জিং পয়েন্ট তৈরি করতে চায় হিরো ইলেকট্রিক।
আরও দেখুন-