#কলকাতা: হিসেব বুঝতে না পারলে বিমা জিনিসটা কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে আদপেই সুবিধের নয়। সে মানসিক স্বাস্থ্যই হোক আর শারীরিক স্বাস্থ্য!
অস্বীকার করতে পারবেন না অনেকেই- বিমা জিনিসটা বেশ কিছু ব্যাপারের দিক থেকে ঘোর-প্যাঁচে ভরা। বিমাকর্মীরা নিজেদের সুবিধের জন্য কেবল মুনাফার দিকটাই ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে বলে বেড়ান, এটাও অজানা নয় কারও। তার পর সেই ফাঁদে পা রাখলেই একে একে ঝুলি থেকে বেরোতে থাকে বিড়ালগুলো, থুড়ি আপনার করা বিমার পক্ষে প্রযোজ্য শর্তাবলী। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে, পিছিয়ে আসতে চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে একটা অঙ্ক কেটে বাকি টাকা ফেরত দেয় সংস্থা।
সেই সব ঝামেলার মধ্যে যাতে আর না পড়তে হয় বিমাগ্রহণকারীকে, সেই জন্যেই এ বার নয়া নিয়ম চালু করল ইনস্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া; সংক্ষেপে আইআরডিএআই। এই সংস্থার বেঁধে দেওয়া কানুনেই চলতে হয় সব বিমাসংস্থাকে। কাজেই আদতে আপনার উপকারই হতে চলেছে বলা যায়।
খবর মোতাবেকে, আপনি যে বিমাটি নিতে চাইছেন সেটি সহজ-সরল না হরেক শর্তাবলীর জাল পাতা- তা এ বার থেকে জানা যাবে রং মিলিয়ে। এ লক্ষ্যে সবুজ, কমলা আর লাল- এই তিন রং বেছে নিয়েছে আইআরডিএআই। যে বিমার সঙ্গে যেমন রং থাকবে, সেই মতো তার ধরন বুঝে নেওয়া সহজ হবে। ২ বা তার চেয়ে কম নম্বর হলে সবুজ, ২-এর বেশি কিন্তু ৪-এর কম হলে কমলা এবং ৪ থেকে ৬ নম্বর পর্যন্ত বরাদ্দ হয়েছে লাল রঙের জন্য।
কোন বিমায় কোন রং থাকবে, তাদের কত নম্বর দেওয়া যায় তা হিসেব করা হয়েছে অপশনাল কভার, কো-পে পারসেন্টেজ, ওয়েটিং পিরিয়ড, শর্তাবলীর সহজগ্রাহ্যতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে সামনে রেখে।যেমন ধরুন, কোনও স্বাস্থ্য বিমায় যদি ৫টা অপশনাল কভার থাকে, তা হলে আইআরডিএআই মাথা পিছু দেবে ০.৬ নম্বর। এ ক্ষেত্রে সেই বিমা পাচ্ছে ৩ নম্বর, থাকবে কমলা রঙের ঘরে। আবার কো-পে ধরে যদি হিসেব করা হয়, তা হলে ৫ শতাংশের উপরে প্রতি ১ শতাংশ বৃদ্ধিতে নম্বর দেওয়া হবে ০.৩। মানে বিমা পাবে ৬ নম্বর, থাকবে লাল রঙের ঘরে।
১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই রঙের খেলা নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামত জমা করার নির্দেশ দিয়েছে আইআরডিএআই।