#নয়াদিল্লি: লকডাউনের মাঝেই চিনের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পর দেশীয় পণ্য ব্যবহারের উপরে জোর দিতে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগেও অবশ্য এই বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আত্মনির্ভর প্রকল্প সেই কারণেই বাস্তবায়িত হয়। দেশীয় পণ্য ব্যবহারে মানুষকে আরও আগ্রহী করে তুলতে এবার বেশ কিছু স্টিলের জিনিসের উপরে 'ইনভার্টেড ডিউটি স্ট্রাকচার'-এ পরিবর্তন আনতে পারে কেন্দ্র।
আগামী ১ ফেূব্রুয়ারি ২০২১-২২ অর্থবর্ষের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)।সেই বাজেটের দিকেই বর্তমানে তাকিয়ে সবাই। একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী থেকে চাকুরিজীবী সকলে। বিশেষজ্ঞরাও বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করছেন।
ইনভার্টেড ডিউটি স্ট্রাকচার বলতে কোনও জিনিস তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালে বেশি পরিমাণ কর বসানো বোঝায়। এই ক্ষেত্রে তৈরি হওয়ার পর সেই জিনিসটির উপরে বসানো কর কাঁচামালের উপরে বসানো করের চেয়ে কম হয়। সূত্র বলছে, বেশ কিছু স্টেইনলেস স্টিলের ফ্ল্যাট রোলড জিনিসের উপর থেকে আমদানি- রপ্তানি শুল্ক তুলে নিতে পারে সরকার। এই বিষয়ে সঠিক ভাবে কিছু জানা না গেলেও অনেকেই বলছেন, এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আসন্ন বাজেটে নেওয়া হতে পারে।
স্টেইনলেস স্টিলের ফ্ল্যাট/রোলড জিনিস, ফেরো নিকেল ও এসএস স্কার্পের ইনপুটের উপরে বা কাঁচামালের উপরে বর্তমানে আমদানি শুল্ক রয়েছে। এবং সেটি তৈরি হওয়া জিনিসের থেকে অনেক বেশি। যা আদপে দেশীয় স্টেইনলেস স্টিলের বাজারে প্রভাব ফেলছে এবং এখানকার ব্যবসায়ীরা এই করের জন্য অনেকটাই ব্যবসায় পিছিয়ে পড়ছেন।
ফেরো নিকেল ও এস এস স্কার্পের মতো জিনিস ভারতে সে ভাবে পাওয়াও যায় না। যদিও পাওয়া যায়, তার গুণমান তেমন ভালো হয় না বা তেমন পরিমাণে পাওয়া যায় না। এই জিনিসগুলির উপরেই ১৫ শতাংশ আমদানি- রপ্তানি শুল্ক রয়েছে। ফলে এই পরিবর্তনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। তাকিয়ে রয়েছে ভারতের স্টেইনলেস স্টিলের বাজার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আশা করা যাচ্ছে, এই ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনবে সরকার। আদপে পরিবর্তন আসবে কি না, তা বোঝা যাবে ১ তারিখ বাজেট পেশের পরই!