#নয়াদিল্লি: বাজেট পেশ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র বাজেট নিয়ে আশাবাদী। আয়কর কমানো থেকে বিনিয়োগ টানা কিংবা রেল, প্রতিরক্ষা-সহ নানা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, প্রতিটি বিষয় নিয়েই ক্রমবর্ধমান প্রত্যাশা। এই পরিস্থিতিতে কনসেশন্যাল কর্পোরেট ট্যাক্সের সুবিধা বাড়ানোর কথা বললেন রবি মহাজন। জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেটকে মাথায় রেখে কনসেশন্যাল কর্পোরেট ট্যাক্স নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন EY India-এর ট্যাক্স পার্টনার রবি মহাজন (Ravi Mahajan)। তিনি জানিয়েছেন, অন্তত একবার নতুন IT সার্ভিস সেক্টরগুলিতে ১৫ শতাংশ কনসেশন্যাল কর্পোরেট ট্যাক্সের সুবিধা দেওয়া উচিৎ। এর জেরে একটি আমূল পরিবর্তন ঘটতে পারে IT সেক্টরে।
তাঁর কথায়, করোনা-পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি। দেশের প্রতিটি সেক্টরের পাশেই দাঁড়াতে হবে সরকারকে। এক্ষেত্রে দেশের IT ইন্ডাস্ট্রি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সংক্রমণকালীন ও তার পরের সময়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের একটি বড় অংশ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র। সাম্প্রতিককালে অন্তর্দেশীয় কোম্পানিগুলিতে ট্যাক্স রেটে যে রিডাকশন বা কর কমানোর পদক্ষেপ দেখা গিয়েছে, তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। তবে এই বিষয়টি নন-কর্পোরেট ডোমেস্টিক সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত করা উচিৎ। আগে মিনিমাম অল্টারনেট ট্যাক্সে (MAT) একাধিক বিধিনিষেধ ছিল। এক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধের সরলীকরণ করতে হবে। নতুন অন্তর্দেশীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির জন্য যে ১৫ শতাংশ কনসেশন্যাল কর্পোরেট ট্যাক্সের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, IT সার্ভিস সেক্টরেও অন্তত একবার সেই কনসেশন্যাল কর্পোরেট ট্যাক্স রেট চালু করতে হবে। ১৫ শতাংশ কনসেশন্যাল কর্পোরেট ট্যাক্সের সুবিধার ক্ষেত্রটিকে আরও প্রসারিত করতে হবে। এতে কিছুটা হলেও সমতা ফিরবে।
এগুলির পাশাপাশি শর্ট টার্ম রিলাক্সেশন স্কিম, নানা অন্তর্দেশীয় নিয়মনীতি, ট্রান্সফার প্রাইসিং, নন-রেসিডেন্ট ট্যাক্স পেমেন্ট-সহ একাধিক বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, এতে ব্যবসা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আরও মজবুত হবে IT সেক্টর। ট্যাক্স স্ট্রাকচারের বিষয়েও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। খতিয়ে দেখতে হবে GST চার্জের বিষয়টি। আসন্ন বাজেটে যদি উল্লিখিত বিষয়গুলির উপর গুরুত্ব আরোপ করা যায়, তাহলে দেশের টেকনোলজি সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন দেখা যাবে।