নয়াদিল্লি: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও টানা ১৬ দিন পেট্রল-ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রাখল রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। মঙ্গলবারও আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৭০ ডলারের বুড়ি ছুঁয়ে ফিরে আসে। আর এমন সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানান, পেট্রল, ডিজেল, বিমান জ্বালানি ও প্রাকৃতিক গ্যাসকে জিএসটির আওতায় আনার কোনও প্রস্তাব এই মুহূর্তে মোদি সরকারের কাছে নেই।
প্রসঙ্গত, ২ মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ক্রমাগত ঊর্ধমুখী। সেই কারণেই ভারতের তেল আমদানির খরচ বেড়ে গত ১১ মার্চ প্রতি ব্যারেল (১ ব্যারেল = ১৫৯ লিটার প্রায়) ৬৭.৩৮ ডলার দাঁড়িয়েছে। আর সেই সূত্রে ভারতে পেট্রল-ডিজেলের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেছে অনেক জায়গায়। আর পেট্রো-পন্যের মূলবৃদ্ধির কারণে টিভি, ফ্রিজ, এসি তৈরির সংস্থাগুলি আগামী ১ এপ্রিল থেকে তাদের পণ্যের দাম বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে।
কিন্তু অভিযোগ, ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির দিকেও নজর নেই কেন্দ্রের। জিএসটির অধীনে সর্বোচ্চ করের হার ২৮%। তাই পেট্রল-ডিজেল, যেখানে খুচরো দরের দুই-তৃতীয়াংশ দিতে হয় শুল্ক-সেস-ভ্যাট বাবদ, জিএসটির অধীনে এলে ওই দুই জ্বালানির দাম অর্ধেক হয়ে যাবে বলেই মত অর্থনীতিবিদদের।
২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে সারা দেশে জিএসটি চালু হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় থেকেই অপরিশোধিত তেল, পেট্রল, ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিমান জ্বালানিকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখা হয়। কিন্তু তাতে কিছুতেই পেট্র-পন্যের মূল্যবৃদ্ধি রোখা যাচ্ছে না। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু বিরোধীদের প্রতিবাদের মুখেও সোমবার লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, 'বর্তমানে অপরিশোধিত তেল, পেট্রল, ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিমান জ্বালানিকে জিএসটিতে আনার কোনও প্রস্তাব সরকারের কাছে নেই।' মোদি মন্ত্রীসভার অর্থমন্ত্রীর যুক্তি, 'কেবল জিএসটি কাউন্সিলই ওই পাঁচ পণ্যকে জিএসটির আওতায় আনতে পারে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত জিএসটি কাউন্সিল কোনও কিছু সুপারিশ-প্রস্তাব দেয়নি।' প্রসঙ্গত, জিএসটি কাউন্সিলে রাজ্যের প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। আর সেই বিষয়টিকেই এখন ঢাল করছে কেন্দ্র।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।