#নয়াদিল্লি: করোনার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক ক্ষেত্র। যার ফলে প্রত্য়ক্ষ এবং পরোক্ষ দুই ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের দেশের অর্থনীতি। বেশ কিছু আশা নিয়ে বর্তমানে আসন্ন বাজেটের দিকে তাকিয়ে অংশীদারেরা। তাঁরা মন করছেন, আসন্ন বাজেট কিছুটা হলেও ক্ষতে প্রলেপ দিতে পারে। এই দিকে ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) বাজেট নিয়ে এক-দু'কথায় বেশ কিছু সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এমন বাজেট তৈরি করা হবে, যা আগে দেখেনি কেউ।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ১ তারিখ প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী। যেভাবে করোনার জেরে অর্থনীতি পিছিয়ে গিয়েছে, তাকে চাঙ্গা করার লক্ষ্য থাকবে এই বাজেটে। পাশাপাশি দ্রুত টিকাকরণ করিয়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগের মতো কাজ শুরু করা এবং ব্যবসায় উন্নতির কথাও মাথায় রাখা হবে।
ফলে, অর্থনীতিতে আসন্ন বাজেটের একাধিক প্রভাব থাকবে। শুধুমাত্র জনসাধারণের খরচ বা রেভেনিউই নয়, রয়েছে একাধিক ক্ষেত্র। তবে, জনসাধারণের জন্য এডুকেশন, হেলথ কেয়ার, হাউজিং, সিকিওরিটি ও ইনফ্রাস্ট্রাকচার এই খাতেই সব চেয়ে বেশি খরচ করে থাকে সরকার।
আনুমানিক ব্যয় ও আনুমানিক রাজস্বের উপরে ভিত্তি করে মোট তিন ধরনের বাজেট হয়। এক ব্যালেন্সড বাজেট, দুই সারপ্লাস বাজেট ও তিন ডেফিসিট বাজেট।
ব্যালেন্সিং বাজেটে সাধারণত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ও বরাদ্দ পরিমাণ পরিবর্তন করা হয় প্রতি বছর। কেন্দ্রীয় বাজেট সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। যেমন- একটা ফিসক্যাল ডেফিসিট তৈরি করা ও তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সুদের পরিমাণে প্রভাব ফেলে এবং তা অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলে। অন্য দিকে, যদি সুদের পরিমাণ বেশি থাকে তা হলে বেশি দামে তৈরি জিনিস কিনতে হয় সকলকে।
সব মিলিয়ে, কোম্পানির টার্নওভার স্টক প্রাইজকে প্রভাবিত করে। কম লাভ হলে তাতে কম স্টক প্রাইজ হয়।
শুধু এটাই নয়, কেন্দ্রীয় বাজেট ডিরেক্ট ট্যাক্সও ঠিক করে দেয়, ঠিক করে দেয় ডিজপোজাল ইনকামও (সমস্ত কর বাদ দিয়ে মোট আয়ের মূল্য)। এই ডিজপোজাল ইনকাম কমলে চাহিদা কমে, কমে প্রোডাকশনও।
ডিরেক্ট ট্যাক্সের পাশাপাশি ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেও প্রভাব ফেলে বিভিন্ন সরকারি পলিসি ও বাজেট। VAT, GST, এক্সাইজ ডিউটি, ট্যারিফের মতো বিষয়গুলি বাজেটে পাশ হয় এবং তার পরিমাণও ঠিক হয় এতেই।
এই ধরনের ইনডিরেক্ট ট্যাক্সের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ভাবেই কোম্পানি বা কোনও সংস্থার লাভের পরিমাণ কমায়। যার প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে একাধিক পরিবর্তন, একাধিক প্রকল্প আনলেও সে ভাবে কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। ১০ বছরে সব চেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে GDP। ২০১৯-এ ৪.২ শতাংশ ছিল এর পরিমাণ। ২০১৮-তে ছিল ৬.১।
ফলে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বাজেটে কী পরিবর্তন আনা হয়, সেটার দিকেই তাকিয়ে সকলে!