#নয়াদিল্লি: যতই দিন এগিয়ে আসছে, বাজেট নিয়ে প্রত্যাশা ক্রমবর্ধমান। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। এক্ষেত্রে ডিরেক্ট ট্যাক্সে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। আয়কর কমানো নিয়েও জল্পনা চলছে। অন্য দিকে, ভ্যাকসিন-সহ অতিমারী সঙ্কট মোকাবিলার ব্যয় মেটাতে বাজেটে কোভিড সেসের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এই পরিস্থিতিতে ডিরেক্ট ট্যাক্স নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে অর্থমন্ত্রক। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন DVS Advisors LLP-এর ফাউন্ডার ও ম্যানেজিং পার্টনার দিবাকর বিজয়সারথি। বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপরে আলোকপাত করেছেন তিনি। এগুলি হল-
প্রথমেই ট্যাক্স সেভিং ইনভেস্টমেন্ট লিমিট বাড়ানো হতে পারে। আয়কর আইনের ৮০ C ধারায় বিভিন্ন জমা/লগ্নি প্রকল্পের টাকায় আয়কর ছাড় পান লগ্নিকারী বা বিনিয়োগকারী। প্রকল্পে জমা টাকা করদাতার মোট আয় থেকে বাদ দিয়ে, তার পর আয়করের হিসেব করা হয়। ওই খাতে সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকার উপরে কর ছাড় মেলে। সেই সীমা বাড়িয়েই ২.৫ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করা হতে পারে।
করোনা সম্পর্কিত খরচ কমানো। মানুষজন করোনার মাঝেই অর্থের জন্য সংগ্রাম করছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলিতে বড়সড় অর্থ খোয়াতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে করোনা সম্পর্কিত খরচে পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
নতুন ক্যাটাগরির ট্যাক্স সেভিং বন্ড আসতে পারে। ট্যাক্স কমানোর লক্ষ্যে কোভিড বন্ডের মতো কোনও নতুন ধরনের ট্যাক্স সেভিং বন্ড আসতে পারে।
নন-রেসিডেন্ট ইনভেস্টর। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশি অর্থের বিনিয়োগ টানতে নানা ধরনের ট্যাক্স ইনসেনটিভস দিতে পারে সরকার।
এই সূত্র ধরে ট্যাক্স স্ল্যাবে কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন নিয়ে আসার কথা বলেছেন Bhuta Shah & Co LLP-এর কর্ণধার হর্ষ বুটা । তিনি জানিয়েছেন-
সিঙ্গল ট্যাক্স স্ল্যাব স্ট্রাকচার নিয়ে পুনরায় বিবেচনা করা উচিত অর্থমন্ত্রকের। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী ২.৫-৫ লক্ষ টাকা আয়ে ট্যাক্স স্ল্যাবের পরিমাণ ৫ শতাংশ। এক্ষেত্রে ন্যূনতম ট্যাক্স স্ল্যাবে পরিবর্তন আসতে পারে।
এগুলির পাশাপাশি ওয়ার্ক ফ্রম হোম অ্যালাওয়েন্স ও বিভিন্ন ডেবিট অ্যাকাউন্টের হোল্ডিং পিরিয়ড কমানোর কথাও ভাবা যেতে পারে। বর্তমানে ডেবিট অ্যাকাউন্টের হোল্ডিং পিরিয়ড ৩৬ মাসের। সেই জায়গায় ১২ মাসে কমিয়ে আনা যেতে পারে এই সময়কাল।
এগুলির পাশাপাশি, রিয়েল এস্টেট সেক্টরে LTCG রেট ২০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা যেতে পারে। এখানেও ২৪ মাসের হোল্ডিং পিরিয়ডকে ১২ মাসে কমিয়ে আনা যেতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।