#নয়াদিল্লি: অর্থনীতির প্রতিটা ক্ষেত্রেই ধাক্কা দিয়েছে করোনা। বাদ যায়নি রিয়েল এস্টেট বা আবাসন শিল্পও। লকডাউনের জেরে একের পর এক প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন অত্যাবশ্যক খরচের চিন্তায় সঞ্চয়ের পথেই হাঁটছেন অধিকাংশ ক্রেতাই। ফলে টান পড়েছে ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রিতে। অথচ দেশের জিডিপি-র একটা বড় অংশ আসে রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্র থেকেই। এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে আসন্ন বাজেটে (Union Budget 2022) গৃহঋণের বিমা প্রিমিয়ামে কর ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্রাহকদের এই সুবিধা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে এই আবেদন জানিয়েছে একাধিক বিমা কোম্পানি।
এই প্রসঙ্গে বাজাজ আলিয়াঞ্জের এমডি এবং সিইও তপন সিংহল বলেন, ‘বর্তমানে আয়কর আইনের ৮০সি ধারা অনুযায়ী, গৃহ ঋণের উপর করে কোনও প্রকার ছাড় বা সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না। এর ফলে করদাতাদের উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চেপে যায়। তার প্রভাব বাড়ি তৈরি বা কেনার সিদ্ধান্তের উপরও পড়ে। যদি গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে করের উপর কিছু ছাড় দেওয়া হয়, তবে ঋণ গ্রহীতাদের সিদ্ধান্তেও তার প্রভাব পড়বে’। এক্ষেত্রে ৮০সি ধারায় দেড় লাখ টাকা ছাড়ের দাবি করেছেন তিনি। পাশপাশি গ্রাহককে যাতে বাড়তি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়, সেই আবেদনও জানিয়েছেন তপন সিংহল।
আরও পড়ুন - বাজেট বুঝতে চান সহজে? দেখে নিন এই শব্দগুলির মানে
শুধু, টাকা ছাড় নয়, গৃহ ঋণের বিমা প্রিমিয়াম সস্তা করতে বাজেটে পদক্ষেপ (Union Budget 2022) নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। বর্তমানে গৃহঋণের প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এই হার কমালে প্রিমিয়াম সস্তা হবে বলে জানিয়েছেন বাজাজ আলিয়াঞ্জের এমডি। বিমা কোম্পানিগুলিরও দাবি, মহামারী পরিস্থিতিতে প্রতিটি ব্যক্তির জন্যই বিমা অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ বিমা করান। সরকার যদি প্রিমিয়াম কমায়, তাহলে অনেক মানুষ বিমা করাতে উৎসাহিত হবেন।
আরও পড়ুন -কোন ক্ষেত্রে ছাড় আর কোন ক্ষেত্রে বাড়তি বরাদ্দ! বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ কি শুনবেন নির্মলা?
তপন সিংহল আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি এবং মহামারীর প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের গৃহঋণে বিমা নিতে উৎসাহিত করতে হবে। যদিও ব্যাঙ্কগুলি হোম লোন গ্রহীতাদের ঋণের উপর বিমা নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তবে এর প্রিমিয়াম মূল ঋণের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে গ্রাহকদের উপর করের বোঝা বাড়লেও বাড়তি সুবিধা তারা পান না। হসপিটালিটি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত স্টেকহোল্ডাররাও করের উপর ছাড়ের দাবি করেছেন। করোনাকালে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উপর ব্যপক চাপের কথা উল্লেখ করে তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে (Union Budget 2022) যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণের মেয়াদ যেন ২০২৪ সাল অবধি বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং করের উপর ১০০ শতাংশই ছাড় দেওয়া হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Home Loan, Union Budget 2022