যখন আর্থিক দিক থেকে কেউ খুব সমস্যায় পড়েন, তখনই বাধ্য হয়ে তাঁকে পার্সোনাল লোনের পথে হাঁটতে হয়। যদিও ব্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই পার্সোনাল লোনটিকে এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ অন্যান্য লোনের থেকে পার্সোনাল লোনে সুদের হার সব চেয়ে বেশি। সাধারণত, গোল্ড লোন, কোনও অ্যাসেট লোন কিংবা এই জাতীয় কোনও সিকিওরড লোনের বিকল্প না থাকলে গ্রাহকরা পার্সোনাল লোনের বিষয়টি বেছে নেন। আর এর পর সুদের হার নিয়েই চিন্তায় দিন কাটে তাঁদের। তবে এ নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। আসুন দেখে নেওয়া যাক, কোন ব্যাঙ্ক সবচেয়ে কম সুদের হারে দেয় পার্সোনাল লোন।
ব্যাঙ্ক সুদের হার ইএমআই
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক ৮.৯০ শতাংশ ১০,৩৫৫
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ৮.৯৫ শতাংশ ১০,৩৬৭
ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক ৯.২০ শতাংশ ১০,৪২৮
স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৯.৬০ শতাংশ ১০,৫২৫
ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র ৯.৭০ শতাংশ ১০,৫৫০
সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ৯.৮৫ শতাংশ ১০,৫৮৭
ইউকো ব্যাঙ্ক ১০.০৫ শতাংশ ১০,৬৩৬
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ১০.২৫ শতাংশ ১০,৬৮৫
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ১০.৭৫ শতাংশ ১০, ৮০৯
কোটাক ব্যাঙ্ক ১০.৭৫ শতাংশ ১০,৮০৯
ব্যাঙ্কবাজারের এই তথ্য বলছে, সব চয়ে কম সুদের হার দেয় ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক। যদি আপনি পাঁচ বছরের মেয়াদে পাঁচ লক্ষ টাকার পার্সোন্যাল লেন নেন, তা হলে এই ব্যাঙ্কে সুদের হার ৮.৯০ শতাংশ। এর পরই রয়েছে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। একটু বেশি অর্থাৎ ৮.৯৫ শতাংশ হারে পার্সোন্যাল লোন দেয় এই ব্যাঙ্ক। যদি আপনি এই ব্যাঙ্কে লোনের আবেদন করেন, তাহলে আপনাকে ইএমআই দিতে হবে প্রায় ১০,৩৬৭ টাকা। এ ক্ষেত্রে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় সুদের হার ৯.৬০ শতাংশ। ইএমআই দিতে হবে প্রায় ১০,৫২৫ টাকা।
তবে এইচডিএফসি ও কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের সুদের হার বেশি। এই দুই প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কে সুদের হার ১০.৭৫ শতাংশ। আর ইএমআই-এর পরিমাণ প্রায় ১০,৮০০ টাকা। তাই এই ব্যাঙ্কগুলিকে এড়িয়ে যেতে পারেন।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলির ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ তৈরি করা হয়েছে উপরোক্ত তথ্যগুলি। এ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের মেয়াদে পাঁচ লক্ষ টাকার পার্সোনাল লোনের উপর ভিত্তি করেই সুদের হার ও ইএমআই হিসেব করা হয়েছে। ইএমআই হিসেব করার ক্ষেত্রে লোন প্রসেসিং ও অন্যান্য চার্জগুলিকে ধরা হয়নি। সে ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের নিজস্ব শর্ত ও নিয়মের ভিত্তিতে এই সুদের হার ও ইএমআই-তে অল্পবিস্তর পরিবর্তন আসতে পারে।
তাই আর দেরি না করে চটপট ব্যাঙ্কগুলির ওয়েবসাইট দেখুন। প্রয়োজনে নিকটবর্তী ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করুন কিংবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তার পর না হয় পার্সোন্যাল লোনের জন্য আবেদন করে ফেলুন।