#কলকাতা: ২০২০-২১ আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে ব্যবসার ফলাফল আজ, বুধবার ঘোষণা করল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ব্যাঙ্কের মোট ব্যবসার আয়তন ২৪.৯৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১,৩৪,৯৪১ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে ব্যাঙ্কিং অপারেশন শুরু করেছিল বন্ধন। এ বছর অগাস্ট মাসে ব্যাঙ্কের পাঁচ বছর পূর্ণ হবে। মাত্র পাঁচ বছরেই গোটা দেশে ৪৫৫৯টি ব্যাঙ্কিং আউটলেট তৈরি করেছে বন্ধন ব্যাঙ্ক এবং তাদের মাধ্যমে ২.০৩ কোটি গ্রাহককে তারা পরিষেবা দিচ্ছে। বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট কর্মীসংখ্যা ৪১৫৬৩।
গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় বন্ধন ব্যাঙ্কের আমানত বেড়েছে ৩৫.৩০ শতাংশ। ব্যাঙ্কের মোট আমানতের বহর এখন ৬০,৬১০ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ও সেভিংস অ্যাকাউন্ট(কাসা) মিলিয়ে আমানত ৪৭.৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২২,৪৭৩ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের সামগ্রিক জমা খাতার মধ্যে কাসা-র অনুপাত এখন ৩৭.০৮ শতাংশ।
বৃদ্ধি হয়েছে ঋণের খাতাতেও। গত আর্থিক বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ব্যাঙ্কের দেওয়া ঋণের বহর ১৭.৬৮ শতাংশ বেড়েছে। মোট ঋণ তথা অগ্রিমের আয়তন এখন ৭৪৩৩১ কোটি টাকা। ব্যাঙ্কের এনপিএ তথা অলাভজনক সম্পত্তি এখন ০.৪৮ শতাংশ। বন্ধনের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা কতটা সুদৃঢ় এতে তারই পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যাঙ্কের ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও (সিএআর) তথা মূলধনের পর্যাপ্ততার অনুপাত ব্যাঙ্কের স্থায়িত্বকে বোঝায়। মুনাফা-সহ বন্ধন ব্যাঙ্কের সিএআর অনুপাত এখন ২৭.২৯ শতাংশ, যা কিনা গ্রহণযোগ্য অনুপাতের (১১%) তুলনায় অনেক বেশি। ব্যাঙ্কের নিট মুনাফা হয়েছে ৫৫০ কোটি টাকা। যা গত ত্রৈমাসিকের নিট মুনাফার তুলনায় ৬.৩৮ শতাংশ বেশি।
এই ফলাফল প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের পুরো সময়টা জুড়ে দেশে লকডাউন চলেছে। তবে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের সমস্ত রকম নিয়ম নির্দেশ মেনে আমাদের ব্যাঙ্ক শাখাগুলি কাজ চালিয়ে গিয়েছে। এই কঠিন সময়েও আমরা আমাদের গ্রাহকদের নিরন্তর পরিষেবা সুনিশ্চিত করেছি। প্রথম ত্রৈমাসিকের এই ফলাফলে বন্ধনের উদ্যমী চরিত্রেরই প্রতিফলন রয়েছে। গ্রাহক, শুভানুদ্যায়ী ও বিনিয়োগকারীরা যে ভাবে আমাদের উপর আস্থা অটুট রেখেছেন সে জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’