Shalini Datta
#কলকাতা: যে কোনও সরকারি সংস্থাকেই আর বিনামূল্য পরিষেবা নয় ৷ যে সমস্ত সংস্থার কাছে এয়ার ইন্ডিয়ার বকেয়ার পরিমাণ ১০ লক্ষ, বা তার থেকেও বেশি, তাদের সম্প্রতি একটি তালিকা তৈরি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমানসংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, যে বকেয়া টাকা না মেটানো পর্যন্ত ওই সমস্ত সংস্থাদের কোনও নতুন টিকিট প্রদান করা হবে না।
গত কিছু মাস ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। প্রবল ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া এই সংস্থাকে নতুন করে সরকারি সাহায্য না দেওয়ার জন্য লোকসভায় অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়ার খারাপ অবস্থার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতি এবং সরকারের নতুন কোনও উদ্যোগের অভাবকেই দায়ী করা হচ্ছিল। দেখা যাচ্ছে পরোক্ষভাবে বেশ কিছু সরকারি দফতর এয়ার ইন্ডিয়ার লোকসানের জন্য ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। এবং এই সমস্ত দফতরের নাম সামনে আসাতে অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছে। জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সরকারি সংস্থার থেকে অনাদায়ী বকেয়ার মোট পরিমাণ - ২৬৮ কোটি টাকা। এবং এই সমস্ত সংস্থার মধ্যে আছে সিবিআই, আইবি, সেন্ট্রাল অডিট বোর্ড, ইন্ডিয়ান লেবার ইনস্টিটিউট এবং বিএসএফ।
যেকোনও সরকারি দফতরের রীতি অনুযায়ী, সংস্থার টাকায় বিমান পরিষেবা নিতে হলে এয়ার ইন্ডিয়া প্রাধান্য পাবে। এবং কোনও অঞ্চলে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা না থাকলে তখন অন্য প্রাইভেট বিমান পরিষেবা নেওয়া হবে। অথচ জানা যাচ্ছে যে টিকিট কাটার পর অনেক সংস্থাই টাকা মেটাচ্ছে না ৷ এবং এই ভাবে তাদের বকেয়ার পরিমাণ বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাকে প্রবল লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে।
সিবিআই, আইবি, কন্ট্রোলার অফ ডিফেন্স এর মতো সংস্থার সরকারি অনুদানের পরিমাণ অনেক বেশি ৷ এমনকি, ভারতীয় রেলের আধিকারিকরাও বিমানে যাতায়াত করেন এবং তাদের ক্ষেত্রেও টিকিটের বকেয়া টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি যে এয়ার ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষ তাদেরকেও নতুন টিকিট দিতে অস্বীকার করেন। এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে টিকিট ইস্যু করা বন্ধ করে গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বকেয়া আদায় হয়েছে।