বীরভূম মুর্শিদাবাদ সীমান্তে এক অদ্ভুদ গ্রাম টিঠিডাঙ্গা। ব্রাহ্মনী নদীর পারে ৪ পাড়ার এই গ্রামে ৪ থানা, ৩ বিধানসভা ২ পঞ্চায়েত। ফলে গ্রামের চিঠি কোন ঠিকানায় যাবে তা সমস্যায়। এমনকি পঞ্চায়েতের উন্নয়নের টাকা সঠিকভাবে গ্রামে পৌঁছায় এমনই অভিযোগ গ্রামবাসীদের।
ব্রাহ্মনী নদীর পাড়েই টিঠিডাঙ্গা গ্রাম। পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ ৪ পাড়ায় ভাগ করা গ্রাম। গ্রামের পশ্চিম পাড়া বীরভূমে। বাকি তিন পাড়া মুর্শিদাবাদে। গ্রামে ২ প্রাথমিক স্কুল একটি বুথ। সে বুথে তিনটি বিধানসভা ও দুটি পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের নির্বাচন করে গ্রামবাসীরা। হাজার তিনেক লোকের বাস গোটা গ্রামে।গ্রামের সীমানা বিন্যাস এমনই যেখানে দুটি জেলার চারটি থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। বীরভূমের নলহাটি ও মাড়গ্রাম থানা। মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ও খড়গ্রাম থানা। তিন বিধানসভার মধ্যে বীরভূমের হাসন, মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম ও খড়গ্রাম।কৃষি নির্ভর গ্রামের মানুষের প্রতি বছরের সমস্যা বন্যা।
আরও পড়ুন:কাজ ধীরে হলে দ্রুত জানান!' কড়া নির্দেশ মন্ত্রীর
গ্রামবাসী ইয়াসিনা বিবি বলেন, "প্রতিবছর বন্যায় আমাদের চোখের জল ফেলতে হয়।যখন বীরভূমের ত্রিপল আসে, তখন মুর্শিদাবাদের আসে না। ওদের এলে আমাদের আসে না। মুর্শিদাবাদ অংশের বাসিন্দা সুকুর আলি বলেন নদীর চড়ে একটা খেজুর গাছ আছে। সেটায় আমাদের পূর্ব পুরুষের কাল থেকে গ্রামের সীমানা। খেজুর গাছের ওপাড়ে বীরভূম। দুনিগ্রাম পঞ্চায়েত। আর এপাড়ে ঝিল্লি পঞ্চায়েত।দুই জেলার উন্নয়নের টাকা যেমন আসে তেমন কাজ হয়।"
আমরা জানি খেজুর গাছের সীমানা। তবে গ্রামবাসীদের কথায় নামে দুটি জেলা হলেও কোনও বিভেদ নাই।রোশন আলি জানান, "যেহেতু দুই জেলার শেষ ঠিকানায় আমাদের গ্রাম তাই তেমন করে উন্নয়ন করতে কেউ আসে না। যে পারে তার দিকে ঠেলে দেয়। গ্রামবাসীরা জানান, সঠিক ঠিকানা না থাকলে চিঠি সহ ডাকের জিনিষ আসতে বছর ঘুরে যায়। প্রশাসনিক কাজে একদিকে বীরভূমের অংশের লোকেদের রামপুরহাট, অন্যদিকে বহরমপুর যেতে হয়।"
শুভদীপ পাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Murshidabad news