হোম /খবর /বীরভূম /
'দুয়ারে কোল'! দুবরাজপুরে রহস্যজনক পোস্টার! কী বার্তা কাদের উদ্দেশ্যে! চাঞ্চল্য

Birbhum News|| 'দুয়ারে কোল'! দুবরাজপুরে রহস্যজনক পোস্টার! কী বার্তা কাদের উদ্দেশ্যে! চাঞ্চল্য

X
title=

Mysterious Posters at Birbhum: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বীরভূমের দুবরাজপুরে রহস্যজনক বেশ কয়েকটি পোস্টার দেখা যায়। দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত নিরাময় জঙ্গল থেকে যশপুর যাওয়ার রাস্তায় একাধিক দোকানে রহস্যজনক এই পোস্টার সাঁটানো হয়।

  • Share this:

#বীরভূম: বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বীরভূমের দুবরাজপুরে রহস্যজনক বেশ কয়েকটি পোস্টার দেখা যায়। দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত নিরাময় জঙ্গল থেকে যশপুর যাওয়ার রাস্তায় একাধিক দোকানে রহস্যজনক এই পোস্টার সাঁটানো হয়। কেউ বা কারা এই পোস্টার সাঁটান মূলত মজুত থাকা অবৈধ কয়লা নিয়ে। অবৈধ কয়লা নিয়ে এই পোস্টার সাঁটাতে গিয়ে পোস্টারে উল্লেখ করা হয় 'দুয়ারে কোল'। তবে এই পোস্টার নিয়ে রহস্য দানা বাঁধার পর পুলিশ তদন্তে নেমে সত্যিই ১২ টন অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে।

দুবরাজপুর এলাকার বিভিন্ন দোকানে যে পোস্টার সাঁটানো হয় তাতে উল্লেখ করা হয়, আবাস প্লাস যোজনা প্রকল্পের সার্ভে করার সময় আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা একেবারে ভিন্ন ছবি দেখতে পান ঘোড়াতরী ও কান্তোরি গ্রামে। যশপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুন্সি মোজাম্মেল হকের শ্যালক শেখ নূর মহম্মদের নামে আবাস যোজনা প্রকল্পের বাড়ি থাকায় সেখানে সার্ভে করতে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা দেখতে পান মুন্সী মোজাম্মেল হকের শালক অর্থাৎ শ্বশুরবাড়িতে বাড়িতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ্য কয়লা মজুত রয়েছে। যেখানে বিপুল পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে সেটি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যাক্ষা জয়নাব খাতুনের বাবা সেখ মোরসালিমের খামার বাড়ি।

আরও পড়ুনঃ শুভেন্দুর সভায় কম্বল নিতে গিয়েছিলেন, ফিরল প্রীতির নিথর দেহ, এখনও থমথমে গোটা পাড়া

তবে এই পোস্টার কে বা কারা সাঁটিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। কিন্তু পোস্টার সাঁটানোর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই দুবরাজপুর থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামার পর যে ব্যক্তির বাড়িতে এমন অবৈধ কয়লা মজুত রাখার দাবি করা হয় সেখানে হানা দেয় পুলিশ। তারপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ১২ টন অবৈধ কয়লা।

পোস্টারে দাবি করা হয়, মুন্সি মোজাম্মেল হক এবং তার শ্যালক নুর মহম্মদ দীর্ঘদিন ধরেই কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তারা দীর্ঘদিন ধরেই একটি লরিতে করে কয়লা পাচার করছেন। এমনকি যে লরিতে কয়লা পাচার করা হয় সেই লরির নম্বর পোস্টারে উল্লেখ করা হয়। এইসব ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে কয়লা উদ্ধার করলেও অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, পুলিশ তাহলে এতদিন কী করছিল? এইভাবে পোস্টার না পড়লে কী প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির বাড়িতে কয়লা মজুত থেকেই যেত এবং কয়লা পাচারের কাজ ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকত! যদিও পুলিশের তরফ থেকে দুবরাজপুর থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে এবং হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রভাবশালীদের থেকেও তারা কয়লা উদ্ধার করে নজির তৈরি করেছে।

Madhab Das

Published by:Shubhagata Dey
First published:

Tags: Birbhum