#বীরভূম: অভাব-অনটনের মধ্যে থাকা মানুষদের পেটপুরে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে মা ক্যান্টিন। এই মা ক্যান্টিন প্রকল্পের জন্ম লগ্ন থেকেই অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি বীরভূমের সিউড়ি শহরে তা চালু হয়। তবে একাধিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ার কারণে সিউড়ির এই মা ক্যান্টিন পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ সাত-আট মাসের বেশি সময় এই মা ক্যান্টিন বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে ফের তা চালু হল সিউড়িতে।
সিউড়ি পৌরসভার কাছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে এখন থেকে প্রতিদিন এই মা ক্যান্টিন চালু থাকবে এবং চাহিদাসম্পন্নরা পরিষেবা পাবেন বলে জানা যাচ্ছে প্রশাসন সূত্রে। সিউড়িতে সাময়িকভাবে মা ক্যান্টিন বন্ধ থাকার পিছনে কি কি কারণ ছিল তা জানালেন সিউড়ি পৌরসভা চেয়ারম্যান প্রণব কর।
সোমবার এই মা ক্যান্টিন পুনরায় চালু হওয়ার দিন দেখা যায় ৭০ জন সেখানে দুপুরের খাবার খান। তবে পৌরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যেদিন যেমন কুপন বিক্রি হবে সেই হিসাবে খাবার তুলে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০০ থেকে ২৫০। তারা আশা করছেন আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। সংখ্যা বাড়লেও পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনো রকম অসুবিধা হবে না বলেই আশ্বাস মিলেছে পৌরসভার তরফ থেকে।
আরও পড়ুন - ব্রাহ্মণ পুত্রের ভিক্ষে বাবা মা হলেন সংখ্যালঘু দম্পতি!
আরও পড়ুন - জটিল অপারেশন বোলপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে, রোগের নাম শুনলে চমকে যাবেন...
মা ক্যান্টিনে খাওয়ার জন্য পাঁচ টাকা করে দিতে হচ্ছে। তার পরিবর্তে মিলছে ভাত, ডাল, এক রকমের সবজি, ডিম এবং চাটনি। বর্তমান বাজারে এই পাঁচ টাকাতে পেটপুরে দুপুরের খাবার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি এখানে খেতে আসা অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষেরা। তারা চাইছেন এই প্রকল্প যেন বন্ধ হয়ে না যায়।
আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই সকল মানুষদের দাবীদাওয়া মতই সিউড়ি পৌরসভা চেয়ারম্যান প্রণব করও আশ্বাস দিয়েছেন, তারা এই পরিষেবা আগামী দিনে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালিয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত, এই মা ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার গ্রহণ করার জন্য সকাল থেকেই কুপন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই কুপন সংগ্রহ করতে হবে এবং খাওয়া-দাওয়া শুরু করা হবে দুপুর ১২টার পর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।