বীরভূম : ছোট থেকেই স্বপ্ন ছিল হাসপাতালের কর্মী হয়ে রোগীদের সেবা করবেন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্যই চাকরি জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরেও রোগীদের সেবায় ছুটে চলেছেন বীরভূমের ইলামবাজারের দারোন্দা গ্রামের ভবদীপ গুপ্ত। ২০১৭ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তার বয়স এখন ৬৫ দোরগোড়ায়।
নিজে সরকারি কর্মজীবন থেকে ২০১৭ সালে অবসর নেওয়ার পর থেকেই ইলামবাজারের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন। এবং রোগীদের সেবায় এখনও নিয়োজিত। দিনরাত এক করে রোগীদের সেবা করে চলেছেন। কখনো নাইট ডিউটি, আবার কখনো দিনে ডিউটি করে থাকেন। চিকিৎসক, নার্সদের কথা অনুযায়ী তিনি যা করেন তা অতুলনীয়। জানা গিয়েছে, ভবদীপ বাবু কর্মরত অবস্থায় প্রথমে জয়দেব পিএইচপিতে কর্মরত ছিলেন। তার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় ইলামবাজার বিপিএইচসিতে। সেখানে থাকা অবস্থাতেই তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
কাজের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা এবং রোগীদের প্রতি তাঁর আচরণ দেখে তৎকালীন চিকিত্সকরা তাঁকে অবসরগ্রহণের পরও হাসপাতালে কাজ করার অনুমতি দেন। এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভবদীপ বাবু সমানতালে নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গ্রাম থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পায়ে হেঁটেই আসেন। কোনও রকম ক্লান্তি নেই তাঁর চোখে-মুখে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রোগীদের সঙ্গে নম্র-ভদ্র ব্যবহারের পাশাপাশি ড্রেসিংয়ের কাজ তিনি খুব ভাল ভাবে করেন। এর পাশাপাশি নাইট ডিউটি করে পরের দিন দুপুর বেলা বাড়ি যান এবং তারপর আবার ঠিক সন্ধ্যায় নিজের কাজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন : ঘূর্ণিত আইসক্রিমে মন মজেছে আট থেকে আশির
আরও পড়ুন : কম জলেই চাষ, রাজ্যের এই জেলায় স্ট্রবেরি চাষ ঘিরে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা
এমনকি হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে যখন চিকিৎসকেরাও কোনও কোনও জায়গায় পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কুণ্ঠিত হতেন, সেই সময়ও এই মানুষটির মধ্যে কোনওরকম ভয়-ভীতি অথবা তাঁর মুখ থেকে 'না' বলে কোন শব্দ শোনা যায়নি। ভবদীপ বাবুর এইভাবে পরিষেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর হাতে পারিশ্রমিক স্বরূপ অল্প কিছু অর্থ তুলে দেন। তবে তিনি বার বার জানিয়েছেন, টাকার জন্য তিনি কাজ করেন না, কাজকে ভালবেসেই কাজ করে থাকেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum